১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
চুরি হয়ে গেছে বেশির ভাগ সরঞ্জাম

এটা কিভাবে সম্ভব হলো

-

যথাযথ তদারকি ও নিরাপত্তাব্যবস্থার অভাবে উদ্বোধনের এক বছর না পেরোতে চুরি হয়ে গেছে সোনারগাঁয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর এবং বিজয় পার্কের বেশির ভাগ সরঞ্জাম। গত বছর অক্টোবর মাসে এ স্মৃতি জাদুঘর ও বিজয় পার্কটি উদ্বোধন করা হয়। ১৯৭১ সালে সোনারগাঁ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা সনমান্দী প্রাইমারি স্কুলমাঠে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণে একটি উপ-প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। সেটির স্মৃতি ধরে রাখতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ স্মৃতি জাদুঘর ও পার্কটি নির্মাণ করা হয়। তবে স্থাপনাটির কোথাও লিপিবদ্ধ নেই- কী কারণে এটি নির্মিত হয়েছে। একটি সহযোগী দৈনিকের সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থাপনাটির প্রবেশমুখের কলাপসিবল গেট খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রবেশমুখের দু’পাশের নির্মিত দু’টি টয়লেট ও ওয়াশরুমের দরজা, থাই গ্লাসের পার্টিশন, তিনটি সিরামিকের বেসিন, ছয়টি পানির কল, চারটি লুকিং গ্লাস, দু’টি সিলিং ফ্যান, দু’টি ফোকাস লাইট, ১২টি রঙিন লাইট চুরি হয়ে গেছে। স্থাপনাটির দেয়াল কেটে নিয়ে গেছে মূল্যবান বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক সুইচ, শিশুদের জন্য স্থাপিত এসএসের তৈরি দোলনার বিভিন্ন অংশ ও স্লিপারের বিভিন্ন অংশ চুরি হয়ে গেছে। বিজয় পার্কে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওয়াশরুমগুলোয় স্থানীয়রা জ্বালানির জন্য ব্যবহৃত গাছের পাতা মজুদ রেখেছেন।
এলাকাবাসী জানান, রাত হলে এখানে মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে। মূলত তারা এসব চুরি করে নিয়ে গেছে। এটি নামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও বিজয় পার্ক হলেও এখানে দু’টি টয়লেট, একটি স্মৃতিস্তম্ভ, শিশুদের জন্য একটি দোলনা ও একটি স্লিপার ছাড়া জাদুঘর বলতে আর কিছু নেই। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কবি শাহেদ কায়েস জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে একটি উপ-প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল। সেই স্মৃতি রক্ষার্থে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এটির নাম দেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর, অথচ এখানে কোনো জাদুঘরই নেই। এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের ছবি ও পরিচিতি দিয়ে একটি কক্ষে জাদুঘর নির্মাণ করা যেত। কিন্তু এটি না করে করা হয়েছে বিজয় পার্ক।
এলজিইডি সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল হক বলেন, প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বিজয় পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বিজয় পার্ক সারা দেশে একই ডিজাইনে করা হয়েছে, তাই এখানে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ইতিহাস আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বিজয় পার্ক সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
সরকারি সম্পত্তি দেখাশোনা করতে হয়। কথায় আছে, ‘সরকারকা মাল দরিয়ামে ঢাল’। সরকারি সম্পত্তি দেখাশোনা করতে একজন সরকারি কর্মকর্তা থাকেন। এ ক্ষেত্রে কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। এরকম যেন আর না হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
৬ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা অভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য মসজিদে নববীতে সাঈদীর ছেলের দোয়া ভারত যাওয়ার পথে মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্তসহ আটক ৪ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা ইউনূসকে পদ্মায় চুবানো খালেদাকে ফেলার হুমকি, হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন মহানবী সা. মানব জাতির অনুকরণীয় আদর্শ : তারেক রহমান ঐশ্বরিয়ার আঙুলে নেই বিয়ের আংটি! অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করছেন মোদি! ইয়েমেন থেকে ইসরাইলে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সিনওয়ার গাজা ছাড়বেন না, যুদ্ধ চালিয়ে যাবার সক্ষমতা হামাসের আছে

সকল