দেখভাল করলে এটি হতো না
- ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাতটি বিভাগীয় ডাকঘরের তিনটির জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। ডাক বিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানঘর ও বাজার। মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও পরবর্তী সময়ে সেগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
ডাকঘর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভায় মোট সাতটি বিভাগীয় ডাকঘর রয়েছে। এগুলো হলো- আবু তোরাব বাজার ডাকঘর, মিরসরাই উপজেলা ডাকঘর, করেরহাট ডাকঘর, মহাজনহাট ডাকঘর, জোরারগঞ্জ ডাকঘর, বিশ্বদরবার ডাকঘর ও ভরদ্বাজহাট ডাকঘর। এসব ডাকঘরে রয়েছে আরো ৩২টি উপ-ডাকঘর। সাতটি বিভাগীয় ডাকঘরের মধ্যে পাঁচটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করেরহাট ডাকঘরে মোট জমি রয়েছে ১৮ শতাংশ। ১ শতক জমি বেদখল রয়েছে বলে জানান করেরহাট পোস্টমাস্টার নওয়াজ শরীফ। করেরহাট ডাকঘরে সরেজমিন দেখা যায়, ছোট্ট একটি ঘরে চলছে কার্যক্রম। পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবন পড়ে আছে। ভবনের পাশে ডাকঘরের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে বাজার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোস্ট কর্মকর্তা বলেন, প্রভাবশালীরা দখল করে রাখায় উচ্ছেদ করতে কষ্ট হচ্ছে। দখলমুক্ত করতে গেলেই শুরু হয় হামলা।
জোরারগঞ্জের পোস্টমাস্টার আবদুল মোতালেব জানান, তাদের ডাকঘরের আওতায় ১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। কিন্তু তারা দখলে রাখতে পেরেছেন ১১ শতক। বাকি ২ শতক জমি বেদখল রয়েছে। মহাজনহাটের পোস্টমাস্টার গোপাল নাথ বলেন, আমাদের ডাকঘরের আওতায় ১৭ শতাংশ জমি রয়েছে। কয়েক মাস আগে জমিগুলো মেপে ঠিক করা হয়েছে। আমাদের কোনো জমি বেদখল হয়নি। ভরদ্বাজহাটের পোস্টমাস্টার নূর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের ডাকঘরের দুই দাগে ১৪ শতাংশ জমি রয়েছে। জমিগুলো এখনো বেদখল হয়নি।
এ দিকে মিরসরাই বিভাগীয় ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, তাদের অনেক জমি বেদখল। তবে কী পরিমাণ জমি মিরসরাই ডাকঘরের আওতায় রয়েছে এবং কী পরিমাণ জমি বেদখল হয়েছে তার সঠিক পরিমাপ তাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে মিরসরাই ডাকঘরের পোস্টমাস্টার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের ডাকঘরটি আগে এখানে ছিল না। আগের জমিটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিয়ে আমাদেরকে এ জায়গাটি দিয়েছে। তবে কী পরিমাণ জমি তারা ডাকঘরকে দিয়েছে তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি কী পরিমাণ জমি বেদখল হয়ে আছে তারও সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পোস্ট অফিস সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, মিরসরাই ডাকঘরের প্রায় ১০ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে থাকতে পারে।
মিরসরাইয়ের সাতটি বিভাগীয় ডাকঘরের মধ্যে ছয়টির নিজস্ব ভবন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশ্বদরবার ডাকঘরটি নিজস্ব জমিতে। এ ছাড়া আবু তোরাব ডাকঘরটি ভাড়া ঘরে কার্যক্রম চালাচ্ছে। অন্য পাঁচটি ডাকঘরের নিজস্ব জমি রয়েছে।
সরকারি সম্পত্তি দেখভাল করার একজন থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়িত্ব পালন না করার কারণে মিরসরাইয়ে এই বেদখলের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর এমন না হয় সে জন্য নিয়মিত তত্ত্বাবধান করা দরকার। সরকারি দায়িত্বে অবহেলা কাম্য নয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা