কারণ উদঘাটন করতে হবে
- ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
একটি সহযোগী দৈনিকের রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, ভরা মৌসুমে বড় ইলিশের দেখা নেই। জালে উঠছে শুধু জাটকা। জেলেদের সাগরযাত্রার খরচই উঠছে না। হতাশ রাঙ্গাবালী উপজেলার সমুদ্রগামী হাজার হাজার জেলে।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাস সাধারণত ইলিশের মৌসুম। উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়ার ট্রলার মালিক আমানুর বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধের পর সাগরে ট্রলার পাঠিয়েছি। কর্মচারীদের খরচসহ মোট ব্যয় হয়েছে এক লাখ টাকা। যা মাছ পেয়েছে, তা বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। ৬০ হাজার টাকা গচ্চা। ট্রলারের একজন জেলের বক্তব্য, দুই মাস পর সাগরে নেমে যে মাছ পাওয়া গেছে তাতে তেল খরচই হয় নাই। ইলিশ তেমন পাই-ই নাই। তবে আমাছা (অন্যান্য দেশীয় মাছ) মোটামুটি। তিনি বলেন, ‘মালিকরে ১০ টাকা কামাই করে দিলে, সে আমাগোরে কিছু দিতে পারে। মাছ-ই তো তেমন পাওয়া যায় না।’
মৌডুবি ইউনিয়নের জাহাজমারা স্লুইসঘাটে অবস্থিত লিমা ফিশের স্বত্বাধিকারী খোকন বলেন, কাক্সিক্ষত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ছোট ইলিশ, জাটকা, পোমা, লইট্টা, বৈরাগীসহ অন্যান্য মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে জেলেদের যাওয়া-আসার খরচ কিছুটা উঠছে। তা না হলে লোকসানের মুখে পড়তে হতো। সমুদ্রগামী জেলেরা বলছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বুকভরা আশা নিয়ে সমুদ্রে নামেন জেলেরা। আশা ছিল, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। নামতে না নামতেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। এক সপ্তাহে দুই দফায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। জারি হয়েছিল তিন নম্বর সতর্কসঙ্কেতও। কোনো কোনো জেলে ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছেন। আবার ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ মাছ ধরেছেন। জেলেদের বেশির ভাগ আশাহত। আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি।
বড় ইলিশ কারো কারো জালে ভাগ্যক্রমে ধরা পড়ছে। জালে উঠছে শুধু ছোট ছোট ২০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ। কম ইলিশ পাওয়ায় বাজারে ইলিশের দামও চড়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ টাকায় এবং জাটকা ইলিশ ৬০০ টাকা কেজি।
রাঙ্গাবালীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮০৯ জন। অনিবন্ধিত জেলেসহ এই উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলের সংখ্যাই বেশি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে যে রীতি আছে, সেগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। যেমন বর্ষা অনেকটা কমে গেছে, গরম বেড়েছে। ঋতু সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। ফলে ইলিশের মৌসুমও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তাই জেলেদের ‘একটু’ অপেক্ষা করতে হবে। বেশির ভাগ জেলে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় উৎপাদন বেড়েছে। আশা করছি, সামনে তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। দুঃসময় ঘুচবে।’
কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘নদ-নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগেছে। ইলিশ চলাচলের গতিপথও পরিবর্তন হয়েছে। অবৈধ জাল ও দূষণের কারণে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। ইলিশের বংশবৃদ্ধির বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারণ নির্ণয় করতে হবে। কারণ নির্ণয় ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা