চরবাসীকে স্বস্তি দিন
- ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর বিভিন্ন চরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে সদ্য রোপণ করা আমনক্ষেত, বীজতলাসহ ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চরবাসী।
তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতি বছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বা বন্যা এলেই শুরু হয় ভাঙন। চলতে থাকে বছরব্যাপী। নদী পারের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘদিনেও স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধ, খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার। প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও হেক্টর আবাদি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে।
হঠাৎ গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। শতাধিক বিঘা জমির আমনক্ষেত, বীজতলাসহ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা আবাদি জমি। তার ভাষ্য- নদীতে, পানি বাড়লে এবং বন্যা এলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনজু মিয়ার দাবি- নদী খনন, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধকল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসীর দুঃখ কোনো দিনও দূর হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ রাশিদুল কবির জানান, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে আমনক্ষেত, বীজতলাসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এতে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিয়া মণ্ডল জানান, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোনে জানিয়েছেন, নদীভাঙন শুরু হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, বিষয়টি তার ‘জানা নেই’। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানানো হয়েছে।
তিস্তার ভাঙনে সুন্দরগঞ্জের চরবাসী অস্বস্তিতে দিনযাপন করছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়ে চরবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে দিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা