২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নাঙ্গলকোটে পৌরসভার বর্জ্য

এসব কি দেখার কেউ নেই?

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার লাকসাম-নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া বিশ্বরোডের নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাইপাস অংশের কোদালিয়া রেলগেটের পশ্চিমে পৌরসভার বর্জ্য জমে স্তূপ হয়ে আছে। দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস উঠছে যানবাহনের যাত্রীসহ পথচারী ও স্থানীয়দের। ওই সড়কপথেই চলাচল করে শিক্ষার্থী। নানা রকম বর্জ্যরে দুর্গন্ধে ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদেরও। বর্তমানে অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে সড়কটির দুই পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অবস্থা আরো খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃষ্টির পানিতে সড়ক ডুবে গিয়ে বর্জ্যগুলো চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। এতে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে যাচ্ছে।
প্রায় এক বছর ধরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ লাকসাম-নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া বিশ্বরোডের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আউটার সিগন্যালসংলগ্ন অংশের দুই পাশে পৌরসভার সব বর্জ্য ফেলছেন। এ সড়কপথে ঢাকাগামী জোনাকী পরিবহন, কুমিল্লা সুপার সার্ভিসের বাসসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রো বাস, মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহন চলাচল করে।
বর্জ্য ফেলার স্থানটির পশ্চিম পাশে পদ্মা হসপিটাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালও রয়েছে। বর্জ্যরে দুর্গন্ধে হাসপাতালে আসা রোগীসহ স্বজনদের অস্বস্তিকর অবস্থা। নাঙ্গলকোটের হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আল-আমিন জানান, সড়কটি দিয়ে পার হতে গিয়ে দুর্গন্ধে পেট গুলিয়ে আসে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক শাহ আলম জানান, বর্তমানে সড়কটির দুই পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অটোরিকশা চালাতে গিয়ে গাড়ির চাকা ডুবে যায়। ময়লা পানিতে নেমে গাড়ি ঠেলে পার করতে হয়। নাঙ্গলকোট পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেকের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দেখার কেউ থাকলে এই দুরবস্থা হয় না, এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু কেউ না কেউ তো দেখার জন্য আছে। তবুও এ অবস্থা কেন?


আরো সংবাদ



premium cement