২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
শেখ হাসিনার নামে হত্যামামলা

সব খুনের বিচার করতে হবে

-

অবশেষে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার হত্যামামলা দায়ের হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক মুদি দোকানিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামি হিসেবে অন্য যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো: হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
মামলার এজাহারের তথ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলায় মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহত হন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন।
গণমাধ্যমের খবর, কোটা সংস্কার আন্দোলনঘিরে সংঘর্ষ-সঙ্ঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাই শুধু একটি ঘটনা নয়, এই আন্দোলনে নিহত সব হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। কেবল তখনই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। তা না হলে আইন-আদালতের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা যেভাবে লোপ পেয়েছে, সেটি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।
৫ আগস্ট দেশে যে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, যা গণবিপ্লব হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে। সেই বিপ্লব তাৎপর্যপূর্ণ করতে অবশ্যই বিগত সাড়ে ১৫ বছরের সব অন্যায়-অবিচারের অপনোদন করতে হবে। যারা হাসিনার অপশাসনের সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এটি সফলভাবে করতে পারলে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।
লক্ষণীয়, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেন। রাষ্ট্র পরিচালনার সব বিধিবদ্ধ নীতি ছুড়ে ফেলে নিজের মর্জিমাফিক দেশ চালাতে থাকেন। আসলে তার দেড় দশকের অপশাসনে দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়। দেশে ১৫ বছর ধরে চলে মাৎস্যন্যায়। এতে আমাদের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধুলোয় মিশে গেছে। বিশেষ করে বিচার বিভাগকে দলীয়করণ এমনভাবে করা হয় যাতে, সরকারবিরোধীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সব পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। ভিন্নমত দমনে হাসিনা সরকার নিষ্ঠুর দমননীতি চালায়। পরিণতিতে হাজারো মানুষ জেল-জুলুম, গুম-খুনের শিকার হন। সেসব ঘটনার বিচার করাও অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
আমরা মনে করি, শেখ হাসিনার দুঃশাসনের সব অপকর্মের বিচার সর্বপ্রথম তাকে দিয়ে শুধু করতে হবে। সেই সাথে তার সব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিচার হতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার শেখ হাসিনার অন্যতম দুই সহযোগী সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করেছে। এই দুই জন শুধু নয়, অন্য সব দুর্বৃত্তকেও ধরতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
পর্ণো তারকাকে অর্থ দেয়ার মামলা খারিজের আবেদনের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প দোহারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নামে ছাত্রলীগ নেতার মামলা ‘কোরআন-সুন্নাহর আদর্শ ছাড়া আলেমদের জন্য রাজনীতি জায়েজ নেই’ চীনা দূতাবাসের আউটস্ট্যান্ডিং পার্টনার অ্যাওয়ার্ড অর্জন অ্যাবকার ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু রোববার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিকদের বিক্ষোভ রেহানার সুরের মূর্ছনায় হেমন্তের এক মুগ্ধ সন্ধ্যা একুশে বইমেলায় স্টলভাড়া কমানোর দাবি ২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সপ্তাহ পার করল স্বর্ণের বাজার নির্বাচনের কোনো বিকল্প দেখছেন না তারেক রহমান গোল করেও দলকে জেতাতে পারলেন না রোনালদো

সকল