বাজারে ইতিবাচক প্রভাব
- ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
গত কয়েক দিনে দেশে পণ্যমূল্য কিছুটা কমেছে; বিশেষ করে কাঁচা বাজারের পণ্যসামগ্রী। মূলত পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি বন্ধ থাকায় পণ্যের দাম কমেছে। দেশে পণ্যমূল্য শুধু চাহিদানির্ভর নয়, বিষয়টি এ থেকে ফের স্পষ্ট হলো। ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশ পুলিশশূন্য হয়ে পড়েছিল। গত দু’দিনে তারা আবার আংশিক কার্যক্রম শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মাঠে নেই। পুরনো সিস্টেম এখনো পুনঃপ্রবর্তন হয়নি। অর্থাৎ উৎস থেকে বাজারে পণ্য আনতে যে দফায় দফায় চাঁদা দিতে হতো, সে বাস্তবতা এখন নেই। ফলে বাজারে পণ্যের দাম কমেছে।
আমাদের দেশে বাজার-ব্যবস্থাপনায় বাস্তবতা হলো- উৎস থেকে পণ্য পাইকারি বাজার পর্যন্ত আসতে অন্তত চারবার হাতবদল হয়। যতবার হাতবদল হয়, ততবার পণ্যের দাম বাড়ে। এ পুরো প্রক্রিয়ার সাথে অনেক মানুষ যুক্ত। এর সাথে অনেকের রুটিরুজি জড়িত; কিন্তু এ ব্যবস্থা ভাঙা না গেলে সামগ্রিকভাবে পণ্যের দামে বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা যায়।
সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা কমেছে। কমেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি ডজন ডিম ও ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কমতির দিকে মাছের দামও।
বাস্তবে হাসিনা সরকারের আমলে ভেঙে পড়ে দেশের বাজারব্যবস্থা। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে বাজারের প্রতিটি পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে লাগামহীন হয়ে ওঠে নিত্যপণ্যের দাম। সঙ্গত কারণে সরকার পতনের সাথে সাথে বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। লক্ষণীয়, সপ্তাহখানেক আগেও যেসব সবজি কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। পাশাপাশি একাধিক সবজি কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় দাম নেমে এসেছে। তবে যে হারে দাম বেড়েছে, সে হারে কমেনি।
চাঁদাবাজি বন্ধ ও সিন্ডিকেট ভেঙে যাওয়ায় এই ইতিবাচক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে এখন বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। সিন্ডিকেট ভেঙে ভোক্তাদের স্বস্তি দেয়ার সময় এসেছে।
নতুন যে সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের প্রতি ভোক্তার চাওয়া পণ্যের দাম সহনীয় করা। এ জন্য বাজার বিশ্লেষকদের মতো আমরাও মনে করি, নিত্যপণ্যের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণ করতে বাজার নজরদারিতে মনোযোগী হতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।
আমরা মনে করি, পণ্য পরিবহনে কোনো অবস্থাতেই চাঁদাবাজি বরদাশত করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। যারা চাঁদাবাজি করতে চাইবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করবে। সেই সাথে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যবসায়ীদের পণ্য কেনার রসিদ ও বিক্রয় মূল্য দোকানের সামনে টানিয়ে রাখতে বাধ্য করতে হবে। যাতে ক্রেতাসাধারণ ওই পণ্যমূল্যের তালিকা দেখে জিনিসপত্র কিনতে পারেন। জরুরি ভিত্তিতে এই দুটি পদক্ষেপ নিলে আশা করা যায় নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালে আনা সহজ হবে। সেই সাথে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি পরোক্ষ করনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এসব পদক্ষেপ কার্যকর করা গেলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, এ কথা সহজে বলা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা