বিচক্ষণভাবে দেশ পরিচালনা জরুরি
- ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ফ্যাসিবাদী হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তার সর্বশেষ থাবাটি আমরা বিগত কয়েকদিন প্রত্যক্ষ করেছি। সাধারণ মানুষের ওপর যুদ্ধে ব্যবহার হয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে। শত্রুদের পরাস্ত করতে যেসব অস্ত্র ইসরাইল ও মিয়ানমার ব্যবহার করে সেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভাড়াটে গু-া লেলিয়ে ছাত্র-জনতাকে দমনের অপচেষ্টা করা হয়। অবশেষে ছাত্র জনতার প্রবল প্রতিরোধে হাসিনা পালিয়েছেন। অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন গত রোববার সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সারাদেশে রক্তের নেশায় মেতে ওঠে। আন্দোলনের শুরু থেকে ছাত্রলীগ যেভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে এদিন সব মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। একদিনে ১০৪ জন প্রাণ হারান, আহত হন হাজার হাজার। ফেণী, লক্ষ্মীপুর, বগুড়া, নরসিংদীতে নারকীয় বর্বরতা চালানো হয়। ফেণী ও লক্ষ্মীপুর হাসিনার আমলে মাফিয়া রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৯৬ সালে দলটি প্রথমবার ক্ষমতার এলেও স্থানীয় অপরাধী চক্র জেলা দুটি নিয়ন্ত্রণ করতো। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরও জেলা দুটিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। মানুষের ওপর নির্মমতা চালাতে এ চক্র বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি। ফেনীর মহিপালে জড়ো হওয়া নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করলে ৮ জন প্রাণ হারায়। তারা সাংবাদিকদের তাড়া করে তাদের মোবাইল, প্রেস লেখা জ্যাকেট ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি করে ছাত্র জনতাকে লক্ষ করে। ফেণীর মতই লক্ষ্মীপুরে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর এলাপাতাড়ি গুলি চালালে ১০ জন প্রাণ হারায়। এদিন ২০ জেলা ও মহনগরে তাদের বেপরোয়া হত্যালীলা দেখা গেছে। ফ্যাসিবাদের আরেক সহযোগী হয়েছে পুলিশের একাংশ। কিন্তু এই অংশটি পুরো পুলিশ বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে নিয়েছিল। তাই পুলিশের ওপর মানুষের চরম ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। তারই প্রকাশ দেখা গেছে রোববার। এদের মধ্যে আক্রমণকারি ও পুলিশও প্রাণ হারিয়েছে। মূলত মানুষের সীমাহীন ক্ষোভের অনলে তারা মারা পড়েছে। গণপিটিুনিতে পুলিশের ১৪ সদস্য ও আওামী লীগের ১৮ জনও মারা গেছে।
দেশব্যাপী এভাবে রক্তনদী বইয়ে দেয়ার জন্য আগের দিন আওয়ামী লীগের আন্দোলন দমনের হুশিয়ারি মূল ভুমিকা রেখেছে। কতটা অবিবেচক বর্বর হলে কয়েকশ লাশ পড়ার পর একটি দল এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
মূলত আওয়ামী লীগ তার রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়েছে ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় পুনবর্হাল হওয়ার মধ্য দিয়ে। পরপর একই ধরনের আরো দুটি নির্বাচন করে দলটি পুরোপুরি জনগণের সাথে সম্পর্কহীন হয়ে যায়। সামান্য কিছু সামরিক বেসামরিক আমলাসহ হাসিনার সাথে সংঘবদ্ধ ক্ষুদ্র একটি দল দেশের সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করেন। গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে গোষ্ঠীটি সর্বসাধারণের দ-মু-ের কর্তা হয়ে যায়। সবকিছুকে তারা অস্ত্রের ভাষায় নিয়ন্ত্রণ করার ফ্যাসিবাদী নীতি গ্রহণ করে। এর ফলে হাসিনার শাসন বরাবরই রক্ত ঝরিয়েছে। সর্বশেষ কোটা আন্দোলন তার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত।
এক নদী রক্ত পেরিয়ে দেশ আবারো স্বাধীন হয়েছে। রক্তের এই ঋণ শোধ করতে হবে। বিগত ১৮ বছরে শোষণ বঞ্চনার যে পাহাড় তৈরি হয়েছে সেদিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মত এমন বর্বর শাসন ফিরে আসার সব পথ বন্ধ করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা