খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন
- ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আমাদের দেশে মাঠের অভাবে এবং ডিভাইস আসক্তিতে বর্তমান প্রজন্ম এমনিতে খেলাধুলাবিমুখ। শিশু-কিশোররা খেলাধুলা ছেড়ে ডিভাইসে সময় কাটানোয় নানা সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অভিভাবকদের। অল্প বয়সীরা ডিভাইসে আসক্ত হওয়ায় তারা যেমন পড়াশোনার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে, ঠিক তেমনি শরীরচর্চার অভাবে অনেক শারীরিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে। এ চিত্র শহরাঞ্চলে বেশি দেখা গেলেও ইদানীং গ্রামেও ডিভাইস আসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বাস্তবতা হলো- শহর-গ্রাম সবখানে শিশু-কিশোররা বিকেলে খেলাধুলার উদ্দেশ্যে আর মাঠে যেতে আগ্রহ দেখায় না। অথচ ছেলেবেলায় খেলাধুলার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এতে শিশু-কিশোরদের শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে। এর অনুপস্থিতিতে তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা হয় বাধাগ্রস্ত; যা বাকি জীবন বয়ে বেড়াতে হয়।
দেশের শিশু-কিশোরদের এই যখন মানসিক অবস্থা; তখন মাঠ থাকতেও ভোলার লালমোহন উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সারি সারি গাছ পড়ে থাকায় আগ্রহী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু দিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ। নয়া দিগন্তের লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রায় দুই মাস ধরে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে মাঠে খেলাধুলা করে; সেখানে বেশির ভাগ জায়গাজুড়ে অন্তত ২৫টি গাছ এলোমেলো পড়ে আছে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ব্যাঘাত ঘটছে।
লালমোহন উপজেলার রায়চাঁদ বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়কের উন্নয়নকাজে লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের অংশে থাকা সড়কের পাশের গাছগুলো উপড়ে ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। প্রায় দুই মাস আগে সেগুলো মাঠের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে। গাছগুলো সরাতে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। মূলত লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বুড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ঠেলাঠেলিতে মাঠে গাছগুলো পড়ে আছে।
এ বিষয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, ওই জমির মালিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। তাই গাছগুলো আমরা সরাতে পারছি না। এগুলো মাঠ থেকে সরাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলেছি।
এদিকে বুড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি, গাছগুলো আমাদের। কিভাবে সেগুলো সরানো যায়, ওই বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, একটি রেজ্যুলেশন করে গাছগুলো মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে রেজ্যুলেশন তৈরির কাজ শুরু করেছি। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় একটু দেরি হচ্ছে। তবে বিদ্যালয় খোলার কিছু দিনের মধ্যে গাছগুলো সরিয়ে নেবো।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের মাঠ থেকে গাছগুলো সরানোর জন্য বলব।
প্রশ্ন হলো- কেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে খেলার মাঠে পড়ে থাকা কিছু গাছ সরাতে দুই মাস সময় লাগবে। দায়িত্বশীলদের এমন আচরণ কোনোভাবেই মানা যায় না। আমরা মনে করি, এই ছোট একটি কাজ স্কুল খোলা পর্যন্ত ফেলে রেখে অপেক্ষা নয়, দ্রুত সময়ে গাছগুলো সরিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠে খেলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগী হবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা