কঠিন শাস্তি দিতে হবে
- ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার বিন্তিপাড়া হাট-জামজামী ভায়া ঝাউদিয়া সড়কের কুমার নদের ওপর গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণকাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। ছয় কোটি টাকা বরাদ্দের সেতুর কাজ সম্পন্ন না করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। গত চার বছর ধরে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। জানা যায়, ২০২১ সালের মার্চে শুরু হওয়া ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতুটির কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে চলে যাওয়ায় ঝুলে গেছে প্রকল্পটি। এতে কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও আলমডাঙ্গা উপজেলার সাথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একমাত্র সংযোগ সড়কটিতে যানবাহন চলাচলও বন্ধ। অভিযোগ, এলজিইডি ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্রিজটির নির্মাণ সম্পন্নের দাবি। অভিযোগ নাকচ করে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, শিগগিরই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ ও কৃষিপণ্য বহন করা দুঃসাধ্য- দাবি স্থানীয়দের। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করে চলাচলের রাস্তাটিও মেরামতের দাবি।
স্থানীয় বাসিন্দা জরিনা খাতুন (৫৫) বলেন, ‘চার বছর আগে শুরু হয়েছে এই কাম। এতদিন সহ্য কইরিছিলাম যে, কাম শ্যাষ হলিই তো আবার সব ঠিক হয়ে যাবিনি। কিন্তু একন দেখতেছি, এডি আমাগো গলার কাঁডা হয়ে গেছে।’ উজানগ্রাম এলাকার বাসিন্দা কৃষক রব্বানী প্রামাণিক (৬০) বলেন, ‘গাঁ গ্রামের মানুষের কষ্ট দ্যাকার কেউ নেই গো। এই যে, গাংয়ের ওপর ব্রিজটা আইজ চার বছর ধরি শেষ করতি পারতেছে না। কী এর সমস্যা আর কিইবা তার সুমাধান হবি, তা কিডা দেখপি? আমরা মাঠ-ঘাটের ফসল আনতি কত কষ্ট কত্তি হচ্ছে।’
ভ্যানচালক নশের আলী বলেন, ‘কাম কত্তি কত্তি অদ্দের কইরি ফ্যালা থুয়ে চইলি গেছে। এতদিন ধইরি আমারে ভুগান্তিই যাচ্ছে না। ব্রিজটা হয়ে গেলি আমরা বাঁচি।’
কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্য গোলাম মহসিন বলেন, ‘নির্মাণাধীন রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পগুলো অনিয়ম-অবহেলায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এতে একদিকে বাড়ছে ব্যয়, অন্যদিকে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহতের পাশাপাশি দীর্ঘ ভোগান্তি।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাকের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম বলেন, এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রকল্প কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতার প্রমাণ থাকলে জবাবদিহিতাসহ শাস্তি হওয়া উচিত। টেকসই উন্নয়ন অভিযাত্রা বাস্তবায়নে সরকারের অর্থ বরাদ্দ দেয়ার পরও কেন এমন জনভোগান্তি হবে?
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর এলজিইডি কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উজানগ্রাম-ঝাউদিয়া সড়কের কুমার নদের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজটির নির্মাণকাজ কিছু দিন বন্ধ ছিল। তবে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তা শেষ করা হবে।’
কাজ ফেলে পালিয়ে যায় যেসব ঠিকাদার, ওদেরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কারণ তাদের কাজের সাথে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। প্রকল্পের কাজ অর্ধেক করে পালিয়ে গেলে জনগণেরই ক্ষতি হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা