দরকার শান্তি ও স্থিতি
- ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশে একটি মধ্যবিত্ত সমাজের উত্থান হয়েছে। প্রবাসী আয় ও পোশাক শিল্পের বিকাশে এই শ্রেণী প্রসারিত হয়েছে। এ কারণে বিনোদন অর্থনীতির বিস্তৃতি ঘটেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পর্যটন শিল্প। পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশে। এর সাথে দেশে আছে আরো বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্পট। হোটেল মোটেল ও আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান নিয়ে সেজেছে দেশের শত শত পর্যটন এলাকা। এটি দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি বারবার ধাক্কা খাচ্ছে। সর্বশেষ কোটা আন্দোলন ঘিরে ছাত্রদের ওপর সরকারি বাহিনী চড়াও হওয়ার পর এ শিল্পে ধসে নেমেছে। বড় বড় পর্যটন স্পটগুলো খাঁ খাঁ করছে।
কক্সবাজারকে ঘিরে এখন বিপুল আয়োজন। শহরটি সড়ক রেল ও বিমানপথে সংযুক্ত হয়েছে। গড়ে উঠেছে বিশাল পর্যটন অবকাঠামো। আছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। এগুলোর ধারণক্ষমতা দুই লাখের বেশি। এ ছাড়াও পাড়া মহল্লায় রয়েছে অসংখ্য গেস্টহাউজ। এ কারণে ছুটির দিনে দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে লাখো মানুষ জড়ো হয়। নিয়মিত অবকাশ যাপনে মানুষ সেখানে যায়। বিশেষ ছুটিতে ভিড় আরো বাড়ে। একই ধরনের পর্যটন এলাকা হিসেবে বিভিন্ন মাত্রায় সজ্জিত হয়েছে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কুয়াকাটা, সিলেট, সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বহু হাওরে গড়ে উঠেছে চমৎকার পর্যটন এলাকা।
একটি বিনোদনকেন্দ্রকে ঘিরে বহুমুখী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সঙ্ঘটিত হয়। ট্যুরিজম সেবা দেয়ার জন্য গড়ে উঠেছে শত শত প্রতিষ্ঠান। পর্যটনের সাথে মোট ১১৯টি খাত জড়িত। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এ ব্যবসার সাথে যুক্ত। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজ করলে এ শিল্পের ব্যাপক বিস্তৃতির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই খাত বারবার হোঁচট খাচ্ছে। এ ব্যবসার সাথে জড়িতরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। বর্তমানে সারা দেশে অস্বস্তিকর এক অবস্থা চলছে।
কক্সবাজারে পর্যটক যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। রেল যোগাযোগ সরকার বন্ধ রেখেছে। ভীতি ও শঙ্কার কারণে সড়ক পথেও মানুষের আনাগোনা নেই। গত ৮ দিনে কক্সবাজারে পর্যটন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম। ব্যবসার মূল সময়েই পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে। জানা যাচ্ছে, পর্যটকরা হোটেল মোটেলে তাদের অগ্রিম বুকিং ক্যানসেল করছেন। সামনে দিনগুলোতে দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির যে উন্নতি হবে তারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে পর্যটন ব্যবসায় প্রসার লাভ করেছে বেসরকারি উদ্যোগে। বহু উদ্যোক্তা এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। করোনা মহামারীর বড় ক্ষয়ক্ষতি তারা উতরে গেছেন। নতুন পরিস্থিতির উদ্ভবে সংশ্লিষ্টদের জন্য বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। সমাজে সৃষ্ট ক্ষত দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। খাদে পড়া অর্থনীতির ওপর এসব নেতিবাচক প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতে আরো সঙ্কট ডেকে আনবে।
বিদ্যমান অস্থিরতা দূর করতে উদ্যোগী হওয়া সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তাতে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা