২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ভীতিকর ব্লক রেইড

শান্তি আরো বিঘ্নিত হবে

-

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারি বাহিনী নির্দয়ভাবে চড়াওয়ের পর এখন চলছে গণহারে গ্রেফতার। বিশেষ করে কিছু জায়গা নিশানা করে যেভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে তা ভীতিকর। সংবাদমাধ্যমের খবরে এর চিত্র ফুটে উঠেছে। ব্লক রেইড নামের এক বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে আসামি গ্রেফতারে কেনো আইন মানা হচ্ছে না। এ সরকারের আমলে ব্যাপকভাবে আইন লঙ্ঘনের রেকর্ড থাকলেও কোটা আন্দোলন ঘিরে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। মনে রাখা দরকার, এখন দেশে শান্তি ফেরানো সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু এ ধরনের অভিযান জনমনে সন্দেহ আরো বাড়াবে। এতে সরকারের প্রতি নাগরিকদের আস্থা শূন্যে গিয়ে ঠেকবে।
ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এখন শোকের আবহ। হতাহতের ঘটনায় চারদিকের পরিবেশ ভারী। এর মধ্যে আরেক বিপদ হয়ে এসেছে ব্লক রেইড। একটি ইংরেজি দৈনিক লিখেছে, প্রতিদিন সূর্য ডোবার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো না কোনো জনবসতিতে হানা দিচ্ছে। তাদের বহনকারী গাড়িগুলোর লম্বা লাইন নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে এই ফোর্স এলাকাটি ঘিরে ফেলে। চলাচলের কৌশলগত অবস্থানে অস্ত্র তাক করে অবস্থান নেয়। তখন লাউড স্পিকারে ঘোষণা আসে ঘরের ভিতরে যান, কেউ বেরুবার চেষ্টা করবেন না।
অভিযানের প্রস্তুতি এবং বাস্তবায়ন ভয়ানক ভীতি ছড়াচ্ছে। অভিযানের এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। সড়ক বাতি নিভিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্চ লাইট জ্বালিয়ে অভিযান শুরু করে। এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খোলসে আরো সদস্য যুক্ত হয়। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বাসাবাড়িতে অভিযান চালায়।
ইংরেজি পত্রিকাটি জানাচ্ছে, রাজধানীর অন্তত আটটি এলাকার অধিবাসীরা এমন অভিজ্ঞতার কথা তাদের জানিয়েছেন। তারা বাড়িতে গিয়ে নক করে সন্দেহভাজনদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অভিযান নিয়ে আগে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীদের কাউকে নিশানা বানালে তাদের ধরে আনতে কোনো আইনের তোয়াক্কা করা হয় না। লক্ষণীয়, সরকার যাকে শত্রু গণ্য করে তার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিয়েছে বছরের পর বছর। এবার দেশের ছাত্রসমাজ প্রধান লক্ষ্য।
ব্লক রেইডের নামে যা চলছে সেটা জনগণের জন্য চরম ভীতিকর হয়ে উঠছে। ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সরকারি দলের লোকেরা নির্বিচার অস্ত্রের ব্যবহার করেছে, পত্রিকায় সেই ছবি ছাপা হয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী হয়ে সরকারি দলের লোকেরা যদি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে থাকে তাহলে গণমানুষের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্ন হবে।
বিপুল প্রাণহানি ও হাজারো মানুষের আহত হওয়ার পর সারা দেশে এখন চরম অস্থিরতা চলছে। এ অবস্থায় সবার মধ্যে শান্তি ফেরানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যে নীতি নিয়েছে তাতে শান্তি ফিরবে বলে মনে হয় না। বরং পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার গভীরে প্রবেশ করবে। সরকারে শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার। ভীতিকর ব্লক রেইড পরিহার করে নাগরিকদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কাম্য।


আরো সংবাদ



premium cement
পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে সব আসনেই জয় তৃণমূলের প্রয়োজনে ইটনা-মিঠামইন সড়ক ভাঙা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কেন ভোলা উচিত নয় কপ-২৯ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক নরসিংদীতে পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার আড়াইহাজারে অটোরিকশার বেপরোয়া গতিতে গৃহবধূর মৃত্যু মহারাষ্ট্রে জয়ের পথে এনডিএ রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা রাশিয়ার সেই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে যা জানা গেছে বড়াইগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

সকল