২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
শিক্ষা খাতে চলছে অচলাবস্থা

দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিন

-

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। আন্দোলনের তীব্রতায় গত ১৬ জুলাই এই বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ১২ দিন পার হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কারো কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিবেশ স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছে। কিন্তু পরিবেশ স্বাভাবিক হতে রাজনৈতিক পর্যায়ে যেসব কর্মকাণ্ড চালানো দরকার তা অনুপস্থিত। বরং এর বিপরীত কাজ করা হচ্ছে।
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর দেশের সব শিক্ষার্থী শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ক্ষতির কোনো সীমা-পরিসীমা থাকেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়। এবার করা হলো আন্দোলনের কারণে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ষাণ¥াসিক পরীক্ষা স্থগিত। স্থগিত আছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির কার্যক্রম। নতুন সেশনের ক্লাস শুরু হচ্ছে না। এ ছাড়া চলমান এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা আগামী পয়লা আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একই অবস্থা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাও স্থগিত। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আটকে আছে। বলা যায়, শিক্ষা খাতে এক নজিরবিহীন অচলাবস্থা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে একটি প্রজন্ম ন্যূনতম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে পারে। এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জানাশোনার দিক থেকে যে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে তা সারাজীবনেও তারা ঘুচাতে পারবে না। পরে শত চেষ্টা করেও এই ব্যবধান আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। চরম ক্ষতির মুখে পড়বে আমাদের জাতি ও দেশ।
একটি সহযোগী দৈনিককে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এখনো এগুলো খুলে দেয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি।
একজন শিক্ষাবিদ দৈনিকটিকে বলেছেন, শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। দেশের ভবিষ্যৎ পিছিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এখন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিবেশ আছে। দ্রুত এগুলো খুলে দেয়া উচিত। তিনি মনে করেন, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলো পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া উচিত।
কিন্তু মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কোনো স্তরে শিক্ষা খাতে ক্ষতির বিষয় নিয়ে আলোচনা নেই। বরং আন্দোলনে নাশকতার বিষয়টি বড় করে তুলে দৃশ্যত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড মুখ্য হয়ে উঠেছে, যা স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে মোটেও অনুকূল নয়।
আন্দোলনকারীরা ৯ দফা দাবি দিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে। এ নিয়ে সরকারের তরফে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি। উল্টো, আন্দোলনের তিন সমন্বয়কারীকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সারা দেশে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটি কারো জন্য কোনোভাবেই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিষয়টি সুচিন্তিত হস্তক্ষেপের দাবি রাখে। অন্যথায় ফের বড় ভুল হবে বলে মনে হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ফার্মগেটে ৭ তলা ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ইউক্রেনের ডনেটস্ক অঞ্চলের গ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া পর্ণো তারকাকে অর্থ দেয়ার মামলা খারিজের আবেদনের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প দোহারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর নামে ছাত্রলীগ নেতার মামলা ‘কোরআন-সুন্নাহর আদর্শ ছাড়া আলেমদের জন্য রাজনীতি জায়েজ নেই’ চীনা দূতাবাসের আউটস্ট্যান্ডিং পার্টনার অ্যাওয়ার্ড অর্জন অ্যাবকার ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু রোববার রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিকদের বিক্ষোভ রেহানার সুরের মূর্ছনায় হেমন্তের এক মুগ্ধ সন্ধ্যা একুশে বইমেলায় স্টলভাড়া কমানোর দাবি ২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সপ্তাহ পার করল স্বর্ণের বাজার

সকল