২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
প্রধান খাদ্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী

বাজার তদারকির খবর নেই

-

অর্থনৈতিক মন্দার কবলে দেশ। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে সব জিনিসপত্রের দাম চড়া। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে প্রায় দেড় বছর আগে। ফলে সাধারণের জীবনমান এখন তলানিতে। অনেক কিছু কাটছাঁট করেও তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছে। বলা চলে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ দুর্ভোগ। এর মধ্যে সম্প্রতি কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের কারণে যোগাযোগব্যবস্থা বিঘি্নত হওয়ায় পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হয়। পরিণামে শহরাঞ্চলে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়ে যায়। বেদনার কথা হলো- সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আমাদের প্রধান খাদ্যপণ্য চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে বিপুল জনগোষ্ঠীর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে। সেই চালের বাজার এখন অত্যন্ত চড়া। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। সাধারণত অতীতে দেখা গেছে, সরকারি গুদামে চালের মজুদ কমে গেলে বাজারে এর প্রভাব পড়ে। দাম কিছুটা বেড়ে যেত। কিন্তু দেশে এখন সেই অবস্থা বিরাজ করছে বলে আমাদের জানা নেই।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বর্তমানে সরকারি গুদামে প্রায় ১৬ লাখ ৮১ হাজার ২৩৪ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪ টন সিদ্ধ চাল, চার লাখ ৪৭ হাজার পাঁচ টন গম। দেশে চালের সঙ্কট রয়েছে এমন তথ্য নেই। প্রশ্ন হলো- তার পরও প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম এত বেড়ে গেল কেন? এর কোনো সদুত্তর সংশ্লিষ্ট কারো কাছে নেই। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, চালের বাজার বাড়তি। আগামী সোমবার থেকে খোলাবাজারে ফের চাল বিক্রি শুরু হবে। এ কার্যক্রম শুরু হলে চালের বাজার সহনীয় হয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুধু চাল নয়, ধনী-গরিব সবার প্রধান সবজি আলুর দামও যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি গণমাধ্যমে শিরোনাম ছিল ‘আলুর দাম সাত টাকা কেজি’। দাম না মেলায় অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন না। পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই আলুর খুচরা মূল্য এখন ৬৫ টাকা কেজি। দেশী লাল আলুর দাম আরো বেশি, ৮০ টাকা কেজি। চলতি বছর প্রায় এক লাখ টন আলু আমদানি করেও বাজার সামলানো যাচ্ছে না। ধনী-গরিব সবার প্রধান সবজি আলুর বাজার এখনো ঊর্ধ্বমুখী।
এভাবে চাল আলু থেকে শুরু করে সব খাদ্যপণ্য অত্যন্ত চড়া দামে কিনতে হচ্ছে মানুষকে। বিপরীতে বেশির ভাগ মানুষের আয় বাড়েনি। মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া বাদবাকি মানুষের আয় সীমিত হয়ে এসেছে। করোনা মহামারী-উত্তর সাধারণের আয় আগের জায়গায়ই গিয়ে পৌঁছেনি। ফলে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক চড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন চিঁড়েচ্যাপটা অবস্থায় দিন গুজরান করছেন। জীবনের ছন্দ হারিয়ে দিশেহারা তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। এর মধ্যে চালের দাম এত বেড়ে যাওয়ায় তাদের সেই দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেছে।
আসলে যথাযথভাবে বাজার তদারকি না থাকায় মিলমালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের একটি অংশ কোটা আন্দোলনের অজুহাতে অতি মোনাফার লোভে চালের দাম বাড়িয়েছেন। তাই চালের দাম সহনীয় করতে কঠোরভাবে বাজার তদারকির কোনো বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদার গ্রেফতার ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলেও ঝাড়খণ্ডে জিততে পারেনি বিজেপি ‘নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না’ বাঘায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার মানুষ যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় সেই প্র্যাকটিস আমরা গড়ে তুলতে চাই : তারেক দিনের শুরুতে স্বস্তি এনে দিলেন হাসান মাহমুদ কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি সাটুরিয়ায় তেলের পাম্পে আগুন দেশের মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেয়নি : মুফতি ফয়জুল করিম

সকল