১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
সব পক্ষের সদিচ্ছা দরকার

ক্ষত নিরাময়ে আন্তরিক হোন

-

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিপুল প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক ঘটনাবলি সমাজজীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। আদালতের রায়ের আলোকে কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এখন সবাই আশা করছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এর মধ্যে চলমান কারফিউ অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। অফিস-আদালত খুলেছে, পরিবহন ও কল-কারখানার চাকা সীমিত পরিসরে সচল হয়েছে। দেশজুড়ে মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে। এ জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির কথাও বলছে সরকার।
গত মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং সব ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করবে সরকার। তিনি বলেন, কোটা সংস্কার করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা উচিত। আইনমন্ত্রীর সাথে আরো দুই মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেই বিবেচনায় এটি ছিল সরকারের দিক থেকে খুব গুরুত্ববহ ঘোষণার শামিল।
শিক্ষার্থীরাও সেটিই চায়। তারা ঘরে ফেরা তথা নিজেদের পড়ালেখার অঙ্গনে ফিরে যাওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করে এ জন্য পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনের কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচজন সমন্বয়ক ও একজন সহসমন্বয়ক সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছেন।
চাওয়া অভিন্ন হলেও উভয় পক্ষের মাঝখানে শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষের লাশ। আছে সরাসরি টার্গেট করে হত্যা করা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শিক্ষার্থী আবু সাঈদের গুলিতে ঝাঁজরা হওয়া লাশ। যা কিছু বলা বা করা হোক, এ বাস্তবতা এড়ানোর সুযোগ নেই। এ ক্ষত ভুলে থাকা অসম্ভব।
মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, তারা আন্দোলনকে আগামীতেও হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছেন। উত্তেজনা থিতিয়ে এলে তারা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুঁজে খুঁজে হুমকি হিসেবে গণ্য করা শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করবেন- এমন একটি হুমকি তাদের বক্তব্যে প্রচ্ছন্ন হলেও স্পষ্ট। কিন্তু সেটি আরো বড় বিপদের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে।
এ সময়ে দরকার সবার সর্বোচ্চ সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করা। শিক্ষার্থীরা পরিবেশ সৃষ্টিতে ইন্টারনেট সচল করা, কারফিউ প্রত্যাহার, ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নেয়া, আবাসিক হল খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মোট চার দফা দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবি নিঃসন্দেহে যুক্তিযুক্ত। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া তারা ফিরে যাবেন, এটি আশা করা যায় না।
সরকার সত্যি আন্তরিক হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে শুধু আশ্বস্ত করা নয়; বরং নিশ্চয়তা দিতে হবে। এভাবে পরিবেশ শান্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এরপর তিন মন্ত্রীর সাথে দেখা করে ছাত্রদের পেশ করা আট দফা দাবি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে। এটি এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। সবাই আন্তরিক হলে কেবল এটি সম্ভব।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেফতার সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজার চলমান ঘটনাবলী সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল : বসনিয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকে ভারতের আসাম-মেঘালয় সীমান্তে আটক ৬৫ বাংলাদেশী ঐক্যের মাধ্যমেই কেবল মুসলিম উম্মাহ'র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হোসেনপুরে স্কুলশিক্ষকের বসতঘর পুড়ে ছাই রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির আভাস 'শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে' সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশ উদ্ধার সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মৎস্যচাষির মৃত্যু সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

সকল