১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
অর্থনীতিতে নতুন ধাক্কা

সামালের পদক্ষেপ নিন

-

দীর্ঘ দিন ধরে সুশাসনের অভাবে দেশ এমনিতেই অর্থনৈতিক মন্দার কবলে। ব্যবসাবাণিজ্য ভালো নেই। দিন যত যাচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দা আরো ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা বেড়েই চলেছে। অন্য দিকে মূল্যস্ফীতির বাড়বাড়ন্তে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। প্রকৃত বাস্তবতায়- বর্তমানে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি থেকে শুরু করে সবার অবস্থাই খারাপ। সাধারণ মানুষের তো করুণ অবস্থা। এ থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটবে তার কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই; বরং মাঝে মধ্যে দেশে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে।
এমনিতে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হওয়ায় দেশের অর্থনীতি ধরাশায়ী। উদ্যোক্তাদের সামর্থ্য নেই যে, তারা আবার নতুন বিনিয়োগ করবেন। অন্য দিকে ব্যবসাবাণিজ্যের পরিবেশে অবনতি হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে একরকম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ থাকায় দেশে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। পরিণামে কর্মক্ষম মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। তারা এখন অন্যদের গলগ্রহ হয়ে উঠছেন। এতে সামাজিক অস্থিরতাও বাড়ছে বৈ কমছে না।
অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হওয়ায় শুধু মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ। সবার জীবনে নেমে এসেছে নাভিশ্বাস। জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। কোনো রকমে টিকে থাকার সংগ্রামে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন জোরালো হলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী-শিল্পপতি সবার ওপর এর তীব্র প্রভাব আছরে পড়েছে। নেতিবাচক প্রভাবে দেশের সব শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে পুরোপুরি অচলাবস্থা। মূলত গত কয়েক দিন ধরে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কত দিনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে তা বলা মুশকিল। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা-ও এখন কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি, ইন্টারনেট বন্ধ এবং সারা দেশে কারফিউ জারি থাকায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ব্যবসাবাণিজ্য। ইন্টারনেট বন্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যব্যবস্থা থেকে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ কার্যত বিচ্ছিন্ন। ইন্টারনেট-ভিত্তিক লেনদেনে চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক-বীমা খোলা না থাকায় সবধরনের আর্থিক লেনদেন বন্ধ। অন্য দিকে কারফিউয়ের কারণে নির্বিঘেœ শিল্পের কাঁচামাল পরিবহনে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। আসলে কয়েক দিন ধরে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। আবার আমদানি পণ্য ছাড় করা যাচ্ছে না। প্রবাসী আয় আসাও বন্ধ রয়েছে। বিদেশী ক্রয়াদেশ নিয়ে বিপাকে রফতানিকারকরা। অন্য দিকে ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা ই-কমার্স খাত। দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট-ভিত্তিক মোবাইল আর্থিক সেবাও ভয়াবহভাবে ব্যাহত। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় সবমিলিয়ে ফের বড় ধরনের ধাক্কায় দেশের পুরো অর্থনীতি। সামষ্টিক থেকে ব্যক্তি সবাই তীব্রভাবে আক্রান্ত।
দেশের এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদদের মতো আমরাও মনে করি, ব্যবসাবাণিজ্যের পরিবেশ দ্রুত স্বাভাবিক করতে সব পরিষেবা চালু করাসহ শিল্পকারখানায় পণ্য উৎপাদন পুরোদমে শুরু করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া : ভারতকে রিজভী রিপাবলিকান-সমর্থিত নির্বাচনী বিধি বাতিলের রায় জর্জিয়ার বিচারকের ইইউ বৈঠকে জয়ের পরিকল্পনা পেশ জেলেনস্কির বাংলাদেশের জন্য ভারতের ভিসা জটিলতার সমাধান কবে হবে ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী নির্বাচন সম্ভব হতে পারে : আসিফ নজরুল গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টায় কাতার-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অঙ্গরাজ্যে সরাসরি আগাম ভোটদান শুরু হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন গাজায় ১৮ লাখ বাসিন্দা ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু হামাস আর গাজা শাসন করবে না : দাবি নেতানিয়াহু

সকল