১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
অর্থনীতির লেজেগোবরে অবস্থা

রাজনৈতিক সদিচ্ছা ভরসা

-


দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। ব্যাংক খাতসহ অর্থনীতির সাথে জড়িত প্রতিটি খাতের লেজেগোবরে অবস্থা। গত শনিবার অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সেমিনারে অর্থনীতিবিদ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর অর্থনীতির সার্বিক দুরবস্থার যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা শুধু উদ্বেগজনক নয়, রীতিমতো হতাশাজনক। এমনকি এখানে অদূর ভবিষ্যতে কোনো রকম আশার আলো দেখার অবকাশ নেই।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলারের অভাবে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের বকেয়া বিল শোধ করতে পারছে না সরকার। ব্যাংক ব্যক্তি খাতকেও ঋণ দিতে পারছে না আবার সরকারকেও ঋণ দিতে পারছে না। নির্বাচনের আগে আর্থিক খাতে ব্যাপক সংস্কার আনা হবে বলে সরকারের ঘোষণার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ঋণ পাওয়ার সক্ষমতাও হারাচ্ছে। এখন বাজেট বাস্তবায়নের মতো টাকাও নেই, ডলারও নেই। ব্যাংক খাত নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থে এ খাতের সংস্কার করতে হবে।
বিগত ১৫ বছরের দেশের শুধু অর্থনীতি নয়, রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, প্রশাসন ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে গণমাধ্যম, সুশীলসমাজ, কেউ কোনো কথা বলছেন না। বুদ্ধিজীবীরাও তেমন কিছু বলছেন না। এমন সময়ে ড. মনসুর সাহস করে সত্য প্রকাশ করলেন, যা সরকার ও দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ দিতে পারে।
বর্তমান চরম হতাশাজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কেও বলেছেন আহসান এইচ মনসুর। বলেছেন, আর্থিক খাতের সঙ্কট মোকাবেলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিকল্প নেই।

বিষয়টি প্রায় সব বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ বা বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন। এটি সত্য। কিন্তু কেউ যেটা বলেন না সেটি হলো, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আদৌ রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে কি না বা তাদের এ সদিচ্ছার উদয় হবে এমন আশা করার সুযোগ আছে কিনা।
আমাদের বিবেচনায়, দেশকে আজকের অবনতিশীল অবস্থায় নামিয়ে আনতে সরকারের ভুল নীতি দায়ী। ক্ষমতাসীনদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত ও ক্ষেত্রবিশেষে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, সুবিধাবাদী নীতি-কৌশল এবং অনুগত বিশেষ গোষ্ঠীকে অবাধে সুবিধা দেয়ার প্রবণতা আজকের অবস্থার জন্য দায়ী। ইআরএফের সেমিনারে কিছুটা হলেও এসব বিষয় উঠে এসেছে।
বক্তারা বলেছেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে কঠোর নীতির পরিবর্তে একের পর এক নীতি সহায়তার নামে ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের সহায়তা দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে মেয়াদি ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় এবং ৯-৬ এর মতো নীতি গ্রহণ করে অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি এবং ব্যাংক খাতে বিশৃঙ্খলার বিষয়টি সবার জানা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে আদৌ কি রাজনৈতিক সদিচ্ছা আশা করা যায়!
যদি না যায়, তাহলে আর কী উপায় আছে? তা নিয়ে ভাবতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গজারিয়ায় বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা এত মানুষ হত্যা করেছে, যা ইতিহাসে নেই’ আমি রেজাল্ট চাই না, আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই : শহিদ সবুজ মিয়ার মা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয়খরা ঘুচাল পাকিস্তান যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ! শুক্রবার ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছাত্র অসন্তোষের জেরে পাঞ্জাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাশিয়াকে সমর্থন প্রশ্নে বেইজিংকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে চীনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া : ভারতকে রিজভী রিপাবলিকান-সমর্থিত নির্বাচনী বিধি বাতিলের রায় জর্জিয়ার বিচারকের

সকল