সক্রিয় উদ্যোগ নেই
- ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
দেশে গ্যাসের সঙ্কট আবারো প্রকট হয়ে উঠেছে। শিল্প খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে। বাসাবাড়ি, হোটেল রেস্তোরাঁয় চুলা না জ্বলায়, ফিলিং স্টেশনে গ্যাস না পাওয়ায় নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকাকালে গ্যাসের উৎপাদন গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহও ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘাটতিতে শিল্প খাতে ধস নেমেছে।
দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। বিপরীতে দেশীয় ও আমদানি করা এলএনজি মিলে সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে মাত্র ২২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শিল্প-কারখানা চালু রাখতে যে পরিমাণ জ্বালানি দরকার ততটা উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২০১২ সালে দৈনিক গড়ে ২২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়। আর ২০১৫ সালে দৈনিক গড়ে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হতো।
অবস্থা এতটা শোচনীয় হওয়ার কারণ সবার জানা। গ্যাস অনুসন্ধানে সরকারের অবহেলা, উদাসীনতা ও আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়া। অথচ এ মুহূর্তে দেশে অর্থনীতি যে মন্দাবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, সেখানে আমদানি করে চাহিদা মেটানোর সামর্থ্য সরকারের নেই। সেই সাথে আছে প্রায়ই কারিগরি ত্রুটি ও পরিচালনগত অদক্ষতা। গ্যাস না থাকায় রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিল্পের চাকা থেমে অথবা থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। গাড়িতে সিএনজি না পেয়ে বিপাকে গাড়ির মালিক, চালক ও যাত্রীরা। অনেক বাসাবাড়িতে গ্যাস না থাকায় চুলা জ্বলে না। আবার বিদ্যুৎ না থাকায় বৈদ্যুতিক বা ইনডাকশন চুলাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
শিল্প খাতের বিপর্যয় দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত। সম্প্রতি রফতানি আয়ের হিসাবে যে গরমিলের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে সেটি প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয়ের চিত্র আড়াল করার সচেতন প্রয়াস কি না- এমন প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
অর্থনীতি যখন খাদের কিনারে তখন সরকার দেশের অভ্যন্তরে গ্যাস অনুসন্ধানের প্রকল্প নিচ্ছে। সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে উপর্যুপরি গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে। কিন্তু সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। সঙ্কটও তাই পিছু ছাড়ছে না। মানুষ বাড়তি টাকা খরচ করেও গ্যাস পাচ্ছে না।
যদি গ্যাস অনুসন্ধানের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ যথারীতি শুরুও হয় তবু সঙ্কট দূর করতে অন্তত দুই বছর বা তারও বেশি সময় লাগবে। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি দৈনিকের রিপোর্টে বলা হয়, উৎপাদন ও অর্থনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ভারী শিল্প, বস্ত্র, তৈরী পোশাক, সার, বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সিএনজি খাতে গ্যাস সরবরাহে বড় রকমের ঘাটতি ছিল। এর প্রভাবে রফতানিমুখী পোশাক খাতের উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়। বিপুল অঙ্কের লোকসানের মুখে পড়ে কারখানাগুলো। অনেক উদ্যোক্তা কারখানা বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান। সেই অবস্থার এখন আরো অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলে ওঠার কোনো সক্রিয় উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা