পানি রক্ষায় এগিয়ে আসুন
- ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
শেরপুর শহরের মধ্য দিয়ে প্রসিদ্ধ ও প্রশস্ত টলমলে পানির খাল ছিল। এ খালের নামানুসারে এর নামকরণ হয় খালপাড়। শহরের খড়মপুর থেকে পৌর কবরস্থান হয়ে মধ্য শেরীপাড়া দিয়ে কসবা অতিক্রম করে হাঁড়িরমুখ হয়ে মৃগী নদীতে গিয়ে মিশেছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘের খালটি। মুক্ত বায়ু সেবন ও স্বাদু পানির মাছ ধরার আকর্ষণীয় স্থান ছিল। মানুষ তাতে গোসলও করত। সকাল সন্ধ্যায় পাখির কলরবে মুখর থাকত খালপাড়। বছর ৪০ আগে সরকার খাল সংস্কার করেছিল। কালের বিবর্তনে দখল দূষণে খালটি মৃতপ্রায়। একটি সহযোগী দৈনিকের শেরপুর প্রতিনিধি জানান, এখন এই খাল ময়লা আবর্জনার বড় ভাগাড়। ৪০ বছরে খালটির দিকে কেউ দেখেনি। একসময়ের প্রসিদ্ধ খালটি অস্তিত্ব হারানোর পথে। খালপাড় আছে; খাল কই? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানান, মৃগী নদীর ডানা ছিল এই খাল। শত বছর আগে শহরের পানি নিষ্কাশন ও খরায় খালপাড়ের জমিতে পানি সরবরাহের জন্য খালটি প্রশস্ত ও গভীর করে খনন করেন স্থানীয় জমিদাররা। বৃষ্টি হলে শহরের জমা পানি ওই খাল দিয়ে নেমে যেত মৃগী নদীতে। শহরের বিস্তৃতির সাথে পরিধি কমেছে খালের। শহরের বর্জ্যে খাল ভরে গিয়ে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে পানি। দুর্গন্ধে খালপাড় দিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। বর্ষায় পানির চাপ বাড়লে বিষাক্ত বর্জ্যসহ পানির স্রোত মৃগী নদীতে গিয়ে পড়ে। মৃগী নদীও দূষণের কবলে পড়ে। এখানে মাছের অস্তিত্ব নেই। মাছ বেঁচে থাকার কোনো ব্যবস্থাও নেই। বিজ্ঞজনেরা বলেছেন, শহরের পানি বের করতে পৌর কর্তৃপক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে পাকা ড্রেন তৈরি করছে। তবুও সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের কোনো কোনো এলাকা ডুবে যাচ্ছে। এর বড় কারণ, খালগুলো সংস্কার না করা। সংস্কার করলে মরা খালটি বেঁচে যেত। শেরপুরের মেয়র গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি পরিবেশ ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট। খালটি খনন ও পরিষ্কার এবং দুই পাড় পাকা করে দেয়া হবে। মানুষ নির্মল নিরিবিলি পরিবেশে সকাল সন্ধ্যায় হাঁটতে ও মুক্ত বায়ু সেবন করতে পারবে। পৌরসভা এ সংক্রান্ত প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা