২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
হাসপাতালে এক শয্যায় চারটি শিশু

‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’র এ কী হাল!

-

একটি সহযোগী দৈনিকের মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, তাপ অব্যাহত থাকায় চরম বিপাকে মাদারীপুরের কচি শিশুরা। জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, ডায়রিয়া প্রভৃতিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু; কিন্তু সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যা কম থাকায় এক বেডেই চারজন শিশু। অনেকে বেড না পেয়ে মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা শিশু ও অভিভাবকরা ভোগান্তিতে। হাসপাতাল কাগজ-কলমে ২৫০ শয্যা, বাস্তবে ১০০ শয্যা জনবল দিয়ে তা চলছে। গত দেড় মাসে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা ওঠানামা করায় শিশুরোগী বৃদ্ধির হার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মাঝে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার একটু কম হলেও এখন আবার আগের মতো প্রচণ্ড গরমে শিশুরা অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে মাত্র ৪৭টি শয্যায় দিনে গড়ে রোগী ১০০ জনের মতো। হাসপাতালের সেবার মান ভালো না থাকলেও রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ৩০০ জনের বেশি। অনেকে ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। রোগীদের জন্য নেই এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স। সরেজমিন হাসপাতালে ওয়ার্ডের সব বেডে দুই-চারজন শিশু রোগী দেখা যায়। একটি শিশুর মা বলেন, হাসপাতালটিতে লেখা ২৫০ শয্যা, বাস্তবে নেই ১০০ শয্যার বেশি। ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে আসেন; কিন্তু এক বেডে চার শিশু। কিভাবে এ অবস্থায় থাকবে। তবুও অনেক কষ্ট করে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন। অর্থাৎ দুর্ভোগে আছেন রোগী ও অভিভাবকরা। আরেকটি শিশুর নানী বলেন, ছোট নাতনীকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি। এখানে এসে দেখি, অবস্থা খারাপ। শিশু রোগী, হাসপাতালে থাকার জায়গা নেই, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। মেঝেতে পাটি বিছিয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: মুনীর আহমদ খান বলেন, হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি থাকায় তাদেরকে ফ্লোরে রাখতে হচ্ছে। তবুও ভালো যে, বাইরে তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে না। হাসপাতালের ভেতরেই রোগীরা থাকতে পারছে। এখানে শিশু ওয়ার্ডে সবসময় রোগী বেশি। তিনি সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে ২৫০ শয্যার কাজ চলছে। এতে মান বোঝা যায়। জনবল নিয়োগ পেলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি, দ্রুত এই সঙ্কটের সমাধান হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল