২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
আবারো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

জোরালো কূটনৈতিক প্রয়াস দরকার

-

মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে দেশটির রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর সংঘর্ষে নতুন করে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। প্রাণ বাঁচাতে এর মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নাফ নদীর পাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিতে রাজি নয় বলে এসব রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ আসতে পারছেন না।
গত ২৪ মে জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনেকে নিহত হয়েছেন। অনেকের বাড়িঘর, সম্পদ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা ১৭ মে থেকে পালাতে শুরু করেন। সম্প্রতি বুথিডং ও মংডু শহরে আরাকান আর্মি (এএ) ও সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে ১০ হাজার নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সংখ্যাটি অনেক বেশি তা স্পষ্ট সীমান্তে ৪৫ হাজার উদ্বাস্তুর উপস্থিতি থেকে। রাখাইনে এখন ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা আছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে বলা হয়।
বুথিডং ও মংডু এলাকায় যেখানে তুমুল সংষর্ষের পর সরকারি বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়েছে সেখানে রোহিঙ্গাদের একটা বড় জনগোষ্ঠী বাস করে। গত বছরের নভেম্বরে জান্তা সরকারের বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মি বিদ্রোহীরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সমর্থন পেয়ে এক বছরে তারা যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের বিবৃতিতে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে, বিদ্রোহী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাদের হত্যা করছে। এমনকি রোহিঙ্গাদের শির-েদ করা হচ্ছে এমন খবরও জাতিসঙ্ঘের সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও আরাকান আর্মি বরাবর দাবি করে আসছে, তারা রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় লড়াই করছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার প্রধান নতুন করে বিপন্ন মানুষদের আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘সুরক্ষা’ দিতে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগের। বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছেন। তাদের আশ্রয়ণসহ দেখাশোনার বিপুল চাপ সহ্য করছে। এ ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে এমন নয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাবার এবং অন্যান্য রসদের জোগান ক্রমেই কমছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের পক্ষে আবারো প্রায় অর্ধলক্ষ উদ্বাস্তু গ্রহণ করা একরকম অসম্ভব। বাংলাদেশের কূটনীতিও এতটা জোরালো নয় যাতে সমস্যাটির সুরাহা হয়। বরং এ ক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলো স্পষ্ট। সম্প্রতি ফের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও চীনকে যুক্ত করতে পারলে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান সম্ভব। কিন্তু কাজটি তারা গত প্রায় এক দশকে করতে পারেননি; বরং বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। তার ওপর স্বয়ং সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সন্নিহিত এলাকায় নতুন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পরিস্থিতিতে এমনই এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে; যা সামাল দেয়ার ন্যূনতম শক্তি সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে কি না সন্দেহ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রয়াস জোরদারের বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ফিরছেন শান্ত, অপেক্ষা বাড়ছে মুশফিকের জন্য পিক‌নিকের বা‌সে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৭ কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্মমভাবে’ গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিবাদ সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলি, বন্দুকধারী নিহত

সকল