২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
খননেও সুফল পাওয়া যায়নি

কাজ হতে হয় পরিকল্পিত

-

একটি সহযোগী দৈনিকের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ধলেশ্বরী নদী ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। মাত্র তিন বছর আগে নদীটি খনন করা হয়। এখন শুষ্ক মৌসুমে নদীর বুকে কুয়া খনন করে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে পারের বাসিন্দাদের। তারা অভিযোগ করে বলেছেন, কাজ কিছুই হয়নি। নারীরা ছোট কলসের গলায় রশি বেঁধে কুয়া থেকে পানি তুলছেন। এক কলসি পানি তুলতে অনেক সময় লাগে। লোকজন পালাক্রমে পানি সংগ্রহ করে থাকেন যা দেখে মনে হয়, মরুভূমি থেকে লোকজন পানি সংগ্রহ করছেন। তিন বছর আগে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খননে লাভ হয়েছে ঠিকাদার আর সংশ্লিষ্টদের। কাজ কিছুই হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৫ বছর আগেও এই নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ থাকত। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে পলি পড়ে দ্রুত ভরাট হতে থাকে। ‘ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও’ কমিটির দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে কালীগঞ্জ নদী থেকে ধলেশ্বরীর উৎসমুখ সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি থেকে সিংগাইর উপজেলার ইসলামপুর পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার খনন শুরু হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে। ’৭৫ সালে ধলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, পরিকল্পিতভাবে না করায় অবস্থার উন্নতি হয়নি। বর্ষার তিন মাস ছাড়া বাকি সময় কালীগঞ্জ থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পানি ঢুকতে পারছে না। কালীগঞ্জ নদীতে পানির কিছু প্রবাহ থাকলেও চরের জন্য ধলেশ্বরী নদীতে ঢুকতে পারছে না। নদী পানিশূন্য। পড়ে রয়েছে ভাঙাচোরা নৌকা। স্থানীয়রা নদীতে চরাচ্ছেন গরু ছাগল। কোথাও জ্বালানির জন্য গোবর শুকানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, টিউবওয়েলে আয়রন থাকায় রান্নার কাজ করা যায় না। শুকনো নদীর বুকে কুয়া খুঁড়ে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য পানি তোলা হয়। ধলেশ্বরী নদী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগির এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। এখানে কিছু পানি দেখা যায়। তবে বর্জ্য ফেলার কারণে এ পানি ব্যবহার করা যায় না। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, মূল নদীতে (কালীগঙ্গা) পানির স্তর নেমে গেছে। তাই ধলেশ্বরীতে পানি ঢুকতে পারছে না। শাখা নদীতে পানি রাখতে মূল নদীও খনন করতে হবে। ধলেশ্বরী নদী আবার খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই খনন শুরু হবে।


আরো সংবাদ



premium cement