অভিভাবকদেরও দায় আছে
- ১৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চোরাচালানে জড়িয়ে সক্রিয় করে তুলছে চোরাচালান চক্র। উঠতি বয়সী এসব শিক্ষার্থীকে টাকার প্রলোভনে ফেলে চোরাচালানের পণ্য পাচার করিয়ে ফায়দা লুটছে চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। অল্প বয়সে স্বল্প সময়ে অধিক টাকা রোজগার করায় এসব শিক্ষার্থী শিক্ষা ও সামাজিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
চোরাকারবারে জড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের শাসন মানছে না। আবার কোনো কোনো অভিভাবকও টাকার প্রলোভনে সন্তানদের আরো সক্রিয় করায় চোরাচালানি চলছে। এলাকার হাট-বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটেও এদের বেপরোয়া চলাফেরা লক্ষ করা গেছে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, শুধু নরসিংপুর নয়; দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার, বোগলাবাজার, লক্ষ্মীপুর এবং সুরমা ইউনিয়নেও একই অবস্থা। সীমান্তবর্তী ওসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নবম-দ্বাদশ শ্রেণী পড়–য়া প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বছরে ঝরে পড়ছে। এসব ছাত্রের একটি অংশ চিনি-সুপারিসহ চোরাচালান পণ্য পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বেশি টাকার লোভে সর্বনাশা মাদক সরবরাহ কাজেও জড়াচ্ছে।
জানা গেছে, সীমান্তে চোরাচালানের কাজে উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদের কেউ মোটরসাইকেলে বস্তা বেঁধে মাদকদ্রব্য ও চিনির বস্তা এনে চোরাকারবারি মাফিয়াদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়। কেউ একই কায়দায় বাংলাদেশ থেকে নানা জাতের পণ্য সীমান্তের ওই পারে পৌঁছে দিচ্ছে। কেউ কেউ গরু-মহিষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় নিচ্ছে। কেউ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বালতির মাধ্যমে কাঁধে করে সীমান্ত পারাপার করছে। চোরাকারবারে নিয়োজিত যুবকদের অনেকেই এক বছরে নিজেরাও হয়ে উঠেছে একেকজন চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্য ও প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক।
শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সী যুবকরা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ভয়ঙ্কর ও আপত্তিজনক উল্লেখ করে নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেন, অভিভাবকদের লোভের কারণে যুবসমাজ নষ্টের দ্বারপ্রান্তে। অবৈধভাবে বেশি টাকা উপার্জনের প্রলোভনে অভিভাবকরা সন্তানদের বাধানিষেধ না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি বলেন, কম বয়সী স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চোরাকারবারে জড়িতের বিষয়টি নজরে এসেছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পুলিশ চোরাচালান বন্ধে বদ্ধপরিকর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা