কবে হবে তার নিশ্চয়তা নেই
- ১২ মে ২০২৪, ০০:০৫
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আতঙ্কের নাম অগ্নিকাণ্ড। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পুড়ে ছাই হচ্ছে সম্পদ। নিঃস্ব হচ্ছে কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় প্রায় ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা, মিরপুর অথবা গাংনী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে আসতে হয় নেভাতে। আগুনে পুড়ে ছাই হয় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও সম্পদ। নয়া দিগন্তের দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দৌলতপুর উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও জমি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কেটে গেছে দুই যুগ। ২০২২ সালে জমির জটিলতা কেটে গেলেও ফায়ার স্টেশন কবে হবে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর বৃহৎ উপজেলার মধ্যে একটি। ৪৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ লোকের বাস। উপজেলার বড় একটি অংশ দুর্গম হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নেই ব্যবস্থা। ২০০০ সালের দিকে এ উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও চিঠি চালাচালিতে কেটে যায় অর্ধযুগের বেশি সময়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তখন থেকে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের জটিলতা। জায়গা অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হলেও সরকারি মূল্য কম হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। একবার সরকারি খাস জমিতে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও জমি নিয়ে মামলার কারণে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের সমাজসেবী হাসিনা বানু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করতে ৮২ শতাংশ জমি দান করেন। সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কাজ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আলোর মুখ দেখেনি ফায়ার স্টেশন। স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ না হওয়ার পেছনে জটিলতার পাশাপাশি নেতাদের ব্যর্থতাও কম দায়ী নয়।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ বলেন, একজন দাতা জমি দান করায় দীর্ঘ দিনের জমির জটিলতা দূর হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাগজপত্র তৈরি করে ফায়ার সার্ভিস দফতরে পাঠানো হয়েছে। এখন স্টেশন নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে সে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস দফতর বলতে পারবে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস দফতরের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে। লোকবলও নিয়োগ হয়েছে। জমি দানপত্র হওয়ায় দাফতরিক কাগজপত্র তৈরিতে কিছুটা সময় লাগছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ও অর্থ পেলে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা