কৃষকের মন মরা কেন?
- ১০ মে ২০২৪, ০০:০৫
একটি জাতীয় দৈনিকের পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাপদাহে দেশজুড়ে চলছে মরুর উষ্ণতা। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। গরমের কারণে বাজার-ঘাট, পাড়া-মহল্লায় আগের মতো কোলাহল শোনা যাচ্ছে না। এসব কারণে সদ্য চলে যাওয়া ‘এপ্রিল’কে সবাই মনে রাখবে। কারণ রোদের তীব্রতার কাছে অনেকে হার মানলেও লড়ে গেছেন কৃষকরা। তাপদাহে বিপর্যয়ে পড়েছে কৃষি খাত। মাঠে রবিশস্য থাকলেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। সেই ফসল ঘরে তুলতে শহর পোড়া গরমকে উপেক্ষা করে মাঠে ছিলেন কৃষকরা। এ মৌসুমের অধিক লাভের ‘মুগডাল’-এর ফলন চলতি বছরে ভালো হলেও টানা তাপদাহের কারণে মাঠে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। এর সমাধান কেবলই বৃষ্টি। কিন্তু মে মাসে কিছু জায়গায় বৃষ্টির দেখা পেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। তার ওপর বৈশাখের বৃষ্টি না থাকায় পাটের বীজ বপন ও আউশের বীজতলা তৈরি বিলম্বিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর পটুয়াখালীতে ৮৭ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে মুগডাল আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। এর বাজার দর ৮০০ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় উৎপাদন এবং বিক্রি কম। এ বছর বৃষ্টি হলে; এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন মুগ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর মুগডালের বাজার দর ভালো হলেও গরমের কারণে শ্রমিকরা ডাল কর্তন করতে পারেননি। ফলে অনেকেই লোকসানে পড়বেন। অন্য ফসল তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই আশা করা যায়, বৃষ্টি হলে যে ডাল রয়েছে, সেগুলো চড়া দরে বিক্রি হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেছেন, রবিশস্যের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে মাটির উর্বরতা আরো বৃদ্ধি পেত। এতে ফলন আরো ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
তাপদাহ এবং খরায় মাটির নিচ থেকে লবণ উপরে উঠে আসছে। ফলে কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ সব গাছ লবণসহিষ্ণু নয়। বিনামুগ-৮ ও বারিমুগ-৬ এ দুই জাতের মুগগাছ কিছুটা লবণসহিষ্ণু। স্থানীয় সোনামুগ লবণসহিষ্ণু না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বাজার দর ভালো হওয়ায় সঠিক সময়ে তুলতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, শহরজুড়ে তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে কৃষি খাতে। রোদের তাপে মুগের জমি শুকিয়ে গেছে এবং কিছু অপরিপক্ব ডাল পেকে গেছে। এসব ডাল দ্রুত কর্তন করার দরকার হলেও প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারে না। কারণ মুগডাল কর্তনের কাজ সাধারণত করে নারী শিশু শ্রমিকরা। তারা সকাল-বিকাল চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ডাল কর্তন করে থাকে, যা পর্যাপ্ত নয়। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে দ্রুত কর্তন করতে পারবে এবং কৃষকরা আরো লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা