নিরুপায় সাধারণ মানুষ
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
মূল্যস্ফীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের বাজার উচ্চমূল্যে স্থির। ফলে চড়াদামে কিনতে হচ্ছে সব জিনিস। এতে সাধারণের অর্থাৎ সীমিত আয়ের মানুষের জীবন এমনিতেই ওষ্ঠাগত। তার ওপর রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে আরেক দফা ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন আরো চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থায় রয়েছে।
লক্ষণীয়, প্রতি বছর রোজা ও ঈদে যেসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়, ঈদের পর তার দাম কিছু কমতে থাকে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ঈদের পর নতুন করে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের মতো নিত্যপণ্য। কিছুটা বেড়েছে আমদানি করা আদার দাম। দেশী ও আমদানি করা রসুনের দামও বাড়তি। চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও চিনি আগের মতো উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আর ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করায় এর মূল্যও বাড়বে। বাজার দরের এমন অবস্থা দেখে স্বল্প আয়ের মানুষ আরো বেশি করে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, তাদের কষ্ট আরো বাড়বে।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাজারে ঈদের পর মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে যে দেশী রসুন প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ঈদের পর প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। ঈদের আগে থেকে বাড়ছিল আলুর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম আরো বেড়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সাথে বসে গত বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম চার টাকা বাড়ছে। প্রায় একই হারে বাড়ছে বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৬৭ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৮১৮ টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মূলত ভোজ্যতেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী এ বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেও প্রশ্ন তোলা যায়, তাহলে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কেন বাড়ল? এর আগে আমদানি শুল্ক কমানোর পরও চিনিসহ অনেক পণ্যের দাম না কমার তিক্ত অভিজ্ঞতাও ভোক্তাদের নিতে হয়েছে।
প্রকৃত বাস্তবতা হলো- দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজি করে নিজিদের ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়ান। কিন্তু এ দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না বা নেয় না। ফলে ভোক্তাদের আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়। দুর্বল বাজার-ব্যবস্থাপনাই এর জন্য দায়ী।
যেখানে বর্তমান বাজারের ঊর্ধ্বগতিতে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত, সেখানে ঈদোত্তর পণ্যের দাম আরো বাড়লে তারা বাঁচবে কীভাবে? এ অবস্থায় সরকারের উচিত বাজারে চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিশেষ করে খাদ্যপণ্য সরবরাহ বাড়ানো, যাতে কিছুটা কম দামে দরিদ্ররা কিনতে পারেন। এ কার্যক্রম শহরাঞ্চলে সীমিত না রেখে প্রত্যন্ত জনপদেও চালু করতে হবে। তবে নাগরিকদের কাছে সরকারের জবাবদিহির যে নমুনা; তাতে অভাবীদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে কতটুকু চিন্তিত তা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা