২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
হাসপাতালে পাঁচগুণ রোগী

আমতলীতে ডায়রিয়ার প্রকোপে স্যালাইন সঙ্কট কেন?

-


দৈনিক নয়া দিগন্তের আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, আমতলী উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছয়জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ডায়রিয়া রোগী ও স্বজনরা। অন্য দিকে হাসপাতালে রয়েছে ডায়রিয়া চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ স্যালাইনের সঙ্কট। ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।
এক সপ্তাহে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালের ছয় শয্যার ডায়ারিয়া রোগীর বেডের স্থলে ৩০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়ও রোগীদের বেড দেয়া হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। অনেক রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগ পায়রা নদীসংলগ্ন এলাকার। লবণাক্ত পানি ব্যবহারেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালের বেডে ১১ জন এবং বারান্দায় ১৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আমড়াগাছিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়। বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন।
চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের সাজেদা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে স্ত্রীকে ভর্তি করেছি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না। চাওড়া ইউনিয়নের ডাক্তারবাড়ী এলাকার জাহেদা বেগমের স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন নেই। বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
আমতলী পৌরসভার বটতলার শিশুরোগী রেদওয়ানের স্বজন বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সব কিছু বাইরে থেকেই কিনতে হচ্ছে। হাসপাতালে বেড না থাকায় বাইরের বেডে ছেলেকে নিয়ে থাকছি। এতে সমস্যা হচ্ছে। কুকুয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী রূপশা বেগম বলেন, ‘ওরে বাবা, আল্লায় মোরে বাঁচাইবে কিনা হেইয়্যা কইতে পারি না। মুই এ্যাকছের বায়রায় যাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল মুনয়েম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। পায়রা নদীসংলগ্ন এলাকায় রোগী অনেক বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, নদীর লবণ পানি ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইভি স্যালাইন সরবরাহ অব্যাহত আছে। আরো স্যালাইনের চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত এই স্যালাইন পেয়ে যাবো। ডায়রিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
সিলেট সীমান্তে ৬৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্যসহ আটক ২ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হবে অবসরপ্রাপ্তদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যু : ভাংচুর পুরান ঢাকার ২ কলেজে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের লেনদেন স্থগিত সাগর থেকে টুনা মাছ আহরণে সহযোগিতা দেবে মালদ্বীপ সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কেন আলোচনায় ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে কেএনএ’র গোপন আস্তানার সন্ধান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত গাজীপুরে আরো এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান রাজশাহীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন

সকল