কারো মাথাব্যথা নেই
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশীদের জন্য আবারো বন্ধ হয়ে গেল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। যেসব কর্মী ভিসা পেয়েছেন বা পাবেন, তারা আগামী ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। তারপর আর কেউ ঢুকতে পারবেন না। মালয়েশিয়া ছিল বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য পছন্দের দেশ। বিপুলসংখ্যক কর্মীর সেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। শুধু গত দু’বছরে গেছেন চার লক্ষাধিক শ্রমিক। দেশটির সরকার বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে সব সময় ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। কিন্তু তার পরও বাংলাদেশীদের জন্য বাজারটি কখনো পুরোপুরি মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে এ বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, কখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। পরে কাঠখড় পুড়িয়ে সেটি চালু করতে হয়েছে। এ মুহূর্তেও দেশটিতে বৈধভাবে যাওয়া লাখো কর্মী চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্ট দফতর তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
এর আগে ২০২৩ সালের শেষ দিকে অজানা কারণে ওমানে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বাজার বন্ধ হয়ে যায়। ওমান ছিল মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। সেখানে কর্মরত বাংলাদেশীর সংখ্যা সাত লক্ষাধিক। অথচ সরকার সেই বাজারটির তেমন কোনো গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে হয়নি। সরকারের কোনো দায়িত্ববান ব্যক্তি বা দফতরের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ওমানে শ্রমিক নেয়া বন্ধের কারণটি পর্যন্ত জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। একই রকম নিষ্ক্রিয়তা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়। একের পর এক শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় দেশ যেমন বিপুল রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনই বৈদেশিক কর্মসংস্থান, ব্যবসায়-বাণিজ্য সব কিছুুু থেকে পিছিয়ে পড়ছেন বাংলাদেশীরা।
মালয়েশিয়ায় কেন বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়া বন্ধ হলো তার স্পষ্ট কোনো কারণ কেউ বলছেন না। সরকার তো নয়ই। গতকাল নয়া দিগন্তের খবরে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের বরাতে বলা হয়, সে দেশে কাজ করতে যাওয়া বেশির ভাগ শ্রমিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও কাজ পাননি; বরং নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনো দেশটিতে দেড় থেকে দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মী বেকার ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করেছে মালয়েশিয়ার সরকার। অনেকের ধারণা, নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর সিন্ডিকেটে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশী কর্মীরা নতুন করে বৈধভাবে দেশটিতে যেতে শুরু করেন।
সেটি আবারো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এতে শুধু জনশক্তি রফতানির সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের কপাল পুড়বে তাই নয়। দেশের সঙ্কটাপন্ন অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়বে সন্দেহ নেই।
অথচ এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বিস্ময়কর। একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরও তারা কিভাবে এমন গা-ছাড়া ভাব নিয়ে থাকেন তা সত্যি বোধের অগম্য। ফলে এ শ্রমবাজার কবে নাগাদ আবার খুলতে পারে বা আদৌ খুলবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা