কর্তৃপক্ষ দেখেও দেখে না
- ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রতিনিধি জানান, সিলেটের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের নদী সুরমা। দেশের দীর্ঘতম নদীটি নাব্যসঙ্কটে পড়েছে। একসময় চলত জাহাজ, সেই সুরমায় এখন কোনোমতে চলছে নৌকা। আট মাসই থাকে না পানি। উৎসমুখ থেকে ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১০০টি চর। ক্রমেই মরা নদীতে পরিণত হচ্ছে সুরমা। এতে পানির অভাবে সিলেটের বাসিন্দারা, বিশেষত কৃষি ও মৎস্যজীবীরা পড়েছেন বিপাকে।
ভারত থেকে নেমে আসা বাংলাদেশের সীমান্ত জকিগঞ্জের বরাক মোহনায় এর উৎপত্তি। সেখান থেকে ভাগ হয়ে বাংলাদেশে প্রবহমান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারা। সুরমা কানাইঘাট, সিলেট নগর, সদর উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ নদী সুনামগঞ্জের বাউলাই মোহনায় মিশেছে। সুরমায় জাগা বিশাল চরে কোথাও কোথাও সবজি ফলিয়েছেন স্থানীয়রা। উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা থমকে থাকা খননকাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দিচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে কাজির বাজার হয়ে টুকের বাজার সুরমা নদীর উল্লিখিত হতশ্রী চেহারা চোখে পড়েছে। তবে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ এলাকা থেকে সুনামগঞ্জের শেষ সীমান্ত পর্যন্ত কমবেশি এমন চিত্রই দেখা যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) তথ্য মতে, বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশের পর নদীর প্রথম ৩২ কিলোমিটারে ১০০টির বেশি চর পড়েছে। আসামের অমলসিদেও পলি জমে অনেকটা ভরে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে উৎস বরাক থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে সুরমা। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময়ের বহতা স্রোতস্বিনী সুরমা নদী এক দিন হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন নদীসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এক যুগে চার দফায় খননের উদ্যোগ নেয়া হলেও ২০১৯ ও ২০২১ সালে দু’টি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তারও আগে ২০১৭ ও ২০১২ সালে খননের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পাউবো। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ১১টি উপজেলা আক্রান্ত হয়ে ডুবে যায়; খোদ সিলেট নগরের অর্ধেকের বেশি এলাকাও। তার পর ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুরমার ১৮ কিলোমিটার অংশে খননের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাজটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ প্রান্তেও চলছে। খননকাজের ধীরগতিতে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি খননকাজের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, উৎসমুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষাকালে বরাক থেকে আসা পানির মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ সুরমায় প্রবেশ করে। বাকি সব পানি চলে যায় কুশিয়ারায়। খনন বিষয়ে বলেন, এর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জুনের মধ্যে শতভাগ শেষ হবে আশা করি। কুশিঘাট এলাকা থেকে সদর উপজেলার জাঙ্গাইল পর্যন্ত পাঁচটি প্যাকেজে কাজ চলছে বলে জানান। ১৮ কিলোমিটার অংশে খনন করে কী উপকার হবে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি সাময়িক সমাধান। এতে সুরমার এ অংশে পানির ধারণক্ষমতা একটু বাড়বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা