বাজার তদারকি করুন
- ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
অসহনীয় মূল্যস্ফীতির কারণে বাজারে সব জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে চলছে এক ধরনের অরাজকতা। এর মধ্যে ব্যবসায়ীদের একটি চক্র কারসাজি করে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করছে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
এমন বাস্তবতায় পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। সঙ্গতকারণে রোজায় প্রয়োজন হয় এমন পণ্য কিনতে ক্রেতারা এখন ব্যস্ত। কিন্তু বাজারে কোনো সুখবর নেই। প্রায় সবকিছু চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্য দিকে নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল ও আটার দামের কোনো হেরফের নেই। এ দু’টি খাদ্যপণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থির রয়েছে। ফলে খাবার কিনতে পেরেশান থাকতে হচ্ছে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষকে।
লক্ষণীয়, কয়েক দশক ধরে প্রতি বছর রমজান মাস শুরুর আগে রোজায় প্রয়োজন এমন পণ্যসামগ্রীর দাম বছরের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। অবস্থা এমন যে, এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ফলে সহজে ক্রেতার পকেট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যবসায়ীদের একটি দুষ্টচক্র।
সাধারণত, রোজায় খেজুরের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। কিন্তু এবার খেজুরের দাম বেশ চড়া। নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা তো দূরের কথা, উল্টো সরকারের মন্ত্রীপর্যায় থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, ইফতারে খেজুরের পরিবর্তে বড়ই খেতে। রমজানে আলুর চাহিদা থাকে বেশি। তাই আলুর দামও কোনো কারণ ছাড়াই বেড়েছে। গরুর গোশতের দাম মাসখানেক ধরে আবার বাড়তির দিকে। এ জন্য মানুষ মুরগির গোশতের দিকে ঝুঁকছিলেন। কিন্তু তাতেও ক্রেতা সাধারণের কোনো সুবিধা হয়নি। রোজার আগেই নতুন করে বেড়েছে মুরগির দাম। খুচরায় চিনি ও ছোলার দামও বেড়েছে। সবজির দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল, ইফতারসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন সবজির দাম এখন বাড়তির দিকে। নতুন দামের বোতলজাত সয়াবিনের এক ও দুই লিটারের বোতল এখনো বাজারে আসেনি। তাই ক্রেতাদের এখনো নির্ধারিত দরের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দরে সয়াবিন কিনতে হচ্ছে। এতে করে রোজার মাসে বাজার খরচ আরেক দফা বেড়ে যাবে সাধারণ মানুষের।
এমন পরিস্থিতিতে বাজারে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে সেই উদ্যোগ তেমন দৃশ্যমান নয়। এ ছাড়া বাজারে প্রতিযোগিতার অভাব আছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানো গেলে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও শুল্ক কমানো, বাজারে অভিযানের মতো উদ্যোগের সুফল পেতেন। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা অস্পষ্ট। এমনিতেই অর্থনৈতিক দুর্দশাগ্রন্ত দেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ফলে রমজানে সাধারণ মানুষ আরো চাপে পড়বে, এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
এ কথা বলা অসঙ্গত হবে না যে, দেশে সুশাসনের অভাবে যে জবাবদিহিহীন পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি আসার মতো পদক্ষেপ সরকার নেবে বা নিতে পারবে এমন আশা করা বাতুলতা মাত্র।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা