দ্বিগুণ দামে পানি বিক্রি
- ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দেশের সব খাত। দুর্নীতিবাজরা এখন দুর্নীতি করতে রাখঢাক করে না। সুশাসনের অভাবে তাদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এর কারণ ক্ষমতার বলয় থেকে তাদের আশকারা দেয়া হয়। আপাতত সাধারণ মানুষের এ থেকে মুক্তি নেই। এটি যেন নিয়তির লিখনে পরিণত হয়েছে।
নয়া দিগন্তের পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতার পাঠানো প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, সেচসুবিধা নিতে গিয়ে সেখানকার কৃষকরা দুর্নীতিবাজ চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। বরেন্দ্র কৃষক ও কৃষিকাজের সুবিধার্থে অল্প খরচে জমিতে পানি সেচে সরকারি ব্যয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) অধীনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে বরেন্দ্র গভীর নলকূপ।
পাঁচবিবি উপজেলা বরেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন জানান, কৃষকদের সুবিধার্থে উপজেলায় সরকারি ৮১টি বরেন্দ্র গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এসব নলকূপে অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়। বরেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, একজন কৃষক ১১০ টাকা রিচার্জের মাধ্যমে বরেন্দ্র থেকে সরাসরি এক ঘণ্টা পানি সেচ দিতে পারবেন। এখান থেকে ১০ টাকা কমিশন পাবেন অপারেটররা। এ অর্থ সরকারি খাতে জমা হবে।
বরেন্দ্র গভীর নলকূপ থেকে একজন কৃষক রিচার্জ কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি বরেন্দ্র গভীর নলকূপ থেকে সেচসুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু সে সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। বরেন্দ্রের আওতায় ইরি-বোরো মৌসুমে পানির অনেক গ্রাহক জানেন না রিচার্জের মাধ্যমে পানি সেচ সুবিধা নিতে হয়। আগে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কিংবা অপারেটররা সুবিধাভোগীদের বিষয়টি বলেননি। এ কারণে বরেন্দ্রের সুবিধা সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা যথাযথভাবে পাচ্ছেন না। ফলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ইরি-বোরো মৌসুমে দ্বিগুণ দামে বরেন্দ্র গভীর নলকূপ থেকে পানি কিনতে হচ্ছে কৃষকদের।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষককে রিচার্জ কার্ডের পরিবর্তে প্রতি বিঘা জমি দুই হাজার টাকায় পানি সেচ দিচ্ছেন অনেক অপারেটর। উপজেলা বরেন্দ্র কার্যালয় ও গভীর নলকূপ এলাকার প্রভাবশালীদের যোগসাজশে প্রতিটি সেচ এলাকায় ১০-১২ জনের একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্র গভীর নলকূপ এলাকায় সেচ নিয়ন্ত্রণ করে। কৃষকদের অসহায় করে ইরি-বোরো মৌসুমে কার্ডের মাধ্যমে পানি না দিয়ে চুক্তি করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে সেচে কৃষকের কাছ থেকে এলাকাভেদে এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে; কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে পানি দেয়া হলে এত টাকা লাগত না।
কৃষকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতায় কৃষকের পকেট কাটছেন বরেন্দ্র গভীর নলকূপের অপারেটররা। তবে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। কিন্তু এ কথা বলে পার পাওয়া যাবে কি? সরকার তাদের নিয়োগ দিয়ে সবধরনের বেতনভাতা দেয় পুরো প্রকল্প যথাযথভাবে দেখাশোনার জন্য। আসলে বরেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কেউ এসব অনিয়ম-দুর্নীতিতে যে জড়িত নন; তা কি জোড় গলায় বলা যাবে? প্রকৃতপক্ষে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কৃষকের পকেট কাটছে বরেন্দ্র গভীর নলকূপের দায়িত্বে থাকা অপারেটরসহ দুষ্টচক্র। আমরা আসা করি, দ্রুত এ চক্রের বিরুদ্ধে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে, যাতে কৃষকরা প্রকৃত দামে সেচসুবিধা পান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা