অবিলম্বে দমন করুন
- ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলায় চলতি মৌসুমে টমেটো ক্ষেতে অজ্ঞাত রোগ দেখা দিয়েছে। শত শত একর জমির টমেটো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক বা বালাইনাশক দিয়েও এতে কাজ হচ্ছে না। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের দরুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। দ্বীপজেলা ভোলার বোরহানউদ্দীন উপজেলার ছোট মানিকা গ্রামের ফরিদুল ইসলাম জানান, এক একর জমিতে টমেটো চাষ করেছেন তিনি। এতে তার দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফুলে-ফলে ভরে উঠেছিল ক্ষেত। পাঁচ লক্ষাধিক টাকার টমেটো বিক্রি করার আশা ছিল। হঠাৎ টমেটোয় কালো দাগ পড়ছে এবং এটি শক্ত হয়ে যাচ্ছে, দেখতে পান। এরপর তা পচে যাচ্ছে। সেই সাথে পাতা ও ডগাও শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। মনে হয়, গোটা ক্ষেত পুড়ে গেছে। এরপর তিনি কৃষি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানির লোকজনের সাথে পরামর্শ করেছেন। কৃষিবিদরা মাঠ দেখছেন, যে ওষুধ দিতে বলেছেন, তা-ই দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। জমির পুরো টমেটোই নষ্ট হয়ে গেছে। এর একটিও বিক্রি করতে পারেননি। একইভাবে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষক আলম, জাকির, আল আমিন, শাহাবুদ্দিন, জহিরসহ ওই এলাকার প্রায় সব চাষির টমেটো। জাকির হোসেন জানান, দেড় একর জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। মাত্র ২২ কেজি টমেটো বিক্রি করতে পেরেছেন। এখন দাম ভালো। ফসল নষ্ট না হলে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারতেন। এখন তিনি লোকসান কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা জানান, প্রায় সব টমেটো ক্ষেতই এ রোগে আক্রান্ত। বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক, ছত্রাকনাশক দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারেননি তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোবিন্দ মণ্ডল জানান, বৃষ্টি এবং কুয়াশার কারণে টমেটো ক্ষেতে রোগের আক্রমণ। কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যারা পরামর্শ মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেছেন, তাদের ক্ষতি ‘কিছুটা’ কম হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে টমেটো ক্ষেতে এই রোগের আক্রমণ হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ও কুয়াশার কারণে টমেটো ক্ষেতে ক্লাইট রোগ হয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যা ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগের ফলে রোগের আক্রমণ কিছুটা কমেছে। বাজারদর ভালো। আশা করা যাচ্ছে, কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
কৃষি জাতির প্রাণ। তাই কৃষকদের সার্বিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পুরো জাতিই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা