২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ত্রাণপ্রত্যাশী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা

নজিরবিহীন ইসরাইলি বর্বরতা

-

ইসরাইল যে মানবতার দুশমন সে বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পরের জমি দখল করে সৃষ্ট রাষ্ট্রটির মানবতাবিরোধী অপরাধ সাম্প্রতিক সময়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বর্ণনাতীত। নজিরবিহীন সব জঘন্য অপকর্ম বাধাহীনভাবে করলেও বিশ্ববাসী অসহায়ের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
ত্রাণপ্রত্যাশী ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে ইসরাইল আবারো নিজেকে মানবতার শত্রু প্রমাণ করল। দেশটি এসব অপকর্ম অবলীলায় করতে পারছে তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদে। শুধু সাহায্য-সহযোগিতা নয়, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপকর্মে অন্ধের মতো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দিন তিনেক আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইহুদিবাদী। ইসরাইল না থাকলে পৃথিবীর কোথাও ইহুদিরা নিরাপদ থাকবে না।
গাজা নগরীর দক্ষিণে আল-রাশিদ স্ট্রিটে ত্রাণের জন্য আগে থেকে অপেক্ষা করছিলেন হাজারো ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ত্রাণবাহী ট্রাক আসতে শুরু করলে ছুটে যান তারা। এ সময় তাদের ওপর বিমান হামলা ও ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১১২ জন নিহত হয়েছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে পানির অভাব ও অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয় শিশুর একজন তীব্র অপুষ্টির শিকার। অবস্থা এত করুণ যে, খাবারের অভাবে ফিলিস্তিনি শিশুরা মারা যাচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, গাজার এক-চতুর্থাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থার (ওসিএইচএ) উপপ্রধান রমেশ রাজাসিংঘাম বলেছেন, ‘আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি, ফেব্রুয়ারির শেষে এসে গাজায় অন্তত পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ।’
গাজায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলাকে ‘ঠাণ্ডা মাথার হত্যাযজ্ঞ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা শত শত মানুষের ওপর ইসরাইলের হামলাকে ‘জঘন্য হত্যাযজ্ঞ ও ইতিহাসে নজিরবিহীন যুদ্ধাপরাধের ঘটনা’ বলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরাইলি সেনাদের গুলি চালানোর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইতালি, কলম্বিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ ও জাতিসঙ্ঘ নিন্দা জানিয়েছে।
গাজায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিন্দা জানিয়েছেন। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘গাজার অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলে এক সপ্তাহের বেশি সময় জাতিসঙ্ঘ ত্রাণ সরবরাহ করতে পারছে না। পুরো গাজার অসহায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন।’
গাজায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলা ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার শিশু। এর মধ্যে ত্রাণপ্রত্যাশী মানুষের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এখনো যারা গাজায় জীবিত রয়েছেন, তাদের মৃত্যুদৃশ্য বিশ্ব যদি সত্যি দেখতে না চায়; তাহলে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল