চার গাঁয়ের দুর্ভোগ কেন?
- ০১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, দশমিনা উপজেলার আদমপুরা খালের ওপর সেতুটির কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়কের কাজ শুরুর সময় কাঠের অস্থায়ী সেতু করে দেয়া হয়। সেতুটিও নড়বড়ে। পণ্যবাহী যান দ্বিগুণ দূরত্বের পথ ঘুরে চলাচল করছে। খালে বাঁধ দেয়ায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও শুকনো মৌসুমে পানি সঙ্কট। এতে দুই ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বহরমপুর ইউনিয়ন ও বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি ১০ কিলোমিটার। সড়কের সীমান্তবর্তী মোল্লাবাজার এলাকায় আদমপুরা খালের ওপর লোহার সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়লে সেই খালের ওপর নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়ে) আওতায় এ সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০২২ সালের ১৫ মার্চ। ১০৫ ফুট লম্বা, ১৮ ফুট প্রস্থের এ সেতু নির্মাণে চুক্তিমূল্য ছিল চার কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
স্থানীয়রা জানান, বহরমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ সেতু পেরিয়ে বেতাগী সানকিপুর হয়ে জেলা শহর থেকে পণ্য নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। এটি ছিল সহজ পথ। সেতু না থাকায় প্রায় দ্বিগুণ পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতু না থাকায় প্রতিদিন চার গ্রামের অন্তত সহস্রাধিক মানুষ চলাচলে দুর্ভোগের শিকার।
খালের দুই পাশে সেতুর দু’টি পাকা পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান দিয়ে রড বেরিয়ে আছে। সেতুটির পাশে অস্থায়ীভাবে নির্মিত কাঠের সেতু দিয়ে স্থানীয় লোকজন চলাচল করছেন। অস্থায়ী সেতু দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না। মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুর ওপর উঠলে বোঝা যায়, সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেতুর কিছু স্থানে কাঠের পাটাতন ভেঙে রয়েছে। এ দিকে সেতু স্থানের খালে পানি না থাকায় মাঠ দিয়ে অনেককে হেঁটে পার হয়ে যেতে দেখা গেছে।
এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, এখানে লোহার সেতু ছিল। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেতুর কাজ হয়নি।
বহরমপুর ইউপি সদস্য গিয়াসউদ্দিন মৃধা বলেন, সেতুর পশ্চিম পাড়ে দক্ষিণ আদমপুর, পশ্চিম আদমপুর ও পূর্ব আদমপুর গ্রাম, পূর্ব পাড়ে উত্তর আদমপুর গ্রাম। চার গ্রামের কৃষিকাজে আদমপুর খালের পানি ব্যবহার করা হতো। সেতু নির্মাণের সময় খালে বাঁধ দেয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও শুকনো মৌসুমে পানির সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। সেতুর পূর্ব পাড়ের বাসিন্দা মোর্শেদা জানান, লোহার জরাজীর্ণ সেতু পার হয়ে চার গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা দক্ষিণ আদমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করত। কাঠের নড়বড়ে সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেতাগী সানকিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, দুই ইউনিয়নের সহজ সড়ক যোগাযোগ ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক। সেতু নির্মাণ শেষ না হওয়ায় সব যানবাহন চলাচল বন্ধ। দুই পাড়ের চার গ্রামের ফসলি ক্ষেতে শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট ও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। সেতু না হওয়ায় দুই ইউনিয়নের পণ্যবাহী যান প্রায় দ্বিগুণ পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। যদি এ সেতুর কাজ ঠিক সময়ে শেষ হতো, সুবিধা হতো পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এর প্রতিনিধি ইকবাল মাহমুদ বলেন, সেতুর মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন পাটাতন করতে হবে। শ্রমিক সঙ্কটে নির্মাণ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত বাকি কাজ শেষ করা হবে। এ জন্য ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নেয়া হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণকাজের ৭০ শতাংশ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি কাজের সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিকাদার।
জনস্বার্থেই সরকারকে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তাই গাঁয়ের মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা