২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপ

অভিভাবকের ওপরই বর্তাবে

-

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ সংক্রান্ত পুরোনো রিটের নিষ্পত্তি করে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। যদিও আদালত বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ভ্যাটের অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে না। তাদের নিজস্ব আয় থেকে পরিশোধ করবে।
বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই বলছেন, তাদের নিজস্ব আয় নেই। তাই ভ্যাটের অর্থ শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী তথা অভিভাবকদের ওপর বর্তাবে। এর ফলে মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত পরিবারের যেসব অভিভাবক ভালো শিক্ষাদানে সন্তানকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করান এবং কষ্টেসৃষ্টে ব্যয় নির্বাহ করেন; তারা তীব্র সঙ্কটে পড়বেন। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী হয়তো ভর্তি হতে পারবেন না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপের বিষয়টি অনেক পুরোনো। ২০০৭ সালের জুনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর ধার্য করে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের খসড়া বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট চালুর প্রস্তাব করা হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের মুখে ভ্যাটের হার কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাট তুলে নেয়ার দাবিতে পথে নামেন এবং পুলিশি দমননীতি সত্ত্বেও এক পর্যায়ে তা বৃহৎ আন্দোলনে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানান অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপে ভ্যাট তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
এরপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রিট ও সরকারের আপিল- ইত্যাদির আকারে বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় ছিল। গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন।
ফলে ভ্যাট দেয়া সংশ্লিষ্টদের জন্য বাধ্যতামূলক হলো। কিন্তু বিষয়টি এখানে শেষ হবে মনে হয় না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমিতি বৈঠকে বসছে। তারা শিক্ষার্থী তথা অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকাটা আদায় করবে তা নিশ্চিত। কিভাবে আদায় করবে তা-ই দেখার বিষয়।
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান এক দৈনিককে বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ট্যাক্স আপনাআপনি শিক্ষার্থীদের ওপর চলে আসবে। এতে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বেড়ে যাবে। সরকারের উচিত ছিল সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটের আওতায় নিয়ে আসা। অডিটে কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ পাওয়া গেলে ওই অর্থের ওপর আয়কর আরোপ করা যেত। এ যুক্তিতে বড় ফাঁক আছে। প্রাইভেট উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক উচ্চ হারে টিউশন ফি আদায় ছাড়াও এমন অনেক বাড়তি ফি আরোপ করে যা অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক। সেই অর্থ তারা উন্নয়ন খাতে ব্যয় দেখিয়ে দেয়। তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে না। এগুলো যে নিছক বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং শিক্ষাকে তারা পণ্য হিসেবে গণ্য করেন এমন ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে।
দেশের নাজুক অর্থনীতি, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ যখন দিশেহারা, সে সময় অভিভাবকদের ওপর বাড়তি চাপ যে সহনীয় হবে না তাতে সন্দেহ নেই। এটি এক ধরনের শিক্ষা সঙ্কোচন কার্যক্রমে পরিণত হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল