সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগুক
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৮
সাতসকালে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে আজকাল অনেকেরই দিন শুরু হয় না। চায়ের পাশাপাশি এখন বাংলাদেশের অনেকে কফির দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে কফি পান জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে দেশে কফির বাজার বাড়ছে।
আমদানির তথ্যে দেখা যায়, ২০১২ সালে দেশে কফি আমদানি হয়েছিল ২৬৪ টন। এক দশকের ব্যবধানে ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৭৪৫ টন। সে হিসাবে দেশে কফির বাজার বছরে গড়ে ৫৬ শতাংশ হারে বাড়ছে বলা যায়। আর এক দশক ধরে চায়ের চাহিদা বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। অর্থাৎ চায়ের তুলনায় কফির চাহিদা ১১ গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কফির তুলনায় চায়ের বাজার এখনো ৫৩ গুণ বড়।
দেশে বাণিজ্যিকভাবে সীমিত আকারে কফি চাষ শুরু হয়। এক দশক আগে পার্বত্য এলাকায়। বর্তমানে দেশের সাত জেলায় দুই হাজার কৃষক কফি চাষে যুক্ত। চারা লাগানোর তিন বছর পর কফির ফলন আসে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতাধীন ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের তথ্যমতে, দেশে গত কয়েক বছরে কফি চাষে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ১০ বছর পরে আর কফি আমদানি করতে হবে না। দেশে উৎপাদিত কফি দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করাও সম্ভব হবে। এটি যে সম্ভব তার লক্ষণ স্পষ্ট। দেশের তিন পার্বত্য জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ হচ্ছে। এর পরিধি আরো বাড়ানো যায়। নয়া দিগন্তের খবর অনুযায়ী, এখন যুক্ত হয়েছে হিমালয়ের খুব কাছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া কফি চাষের উপযোগী। ছায়াযুক্ত স্থানে অথবা বিশাল সুপারির বাগানে সাথী ফসল হিসেবে কফি চাষ করা যায়।
প্রতি একর জমিতে কফি চাষ করতে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি করা যায়, প্রতি বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকা। বর্তমানে পঞ্চগড়ে ৪৭ জন কৃষক ১২ দশমিক ৮১ হেক্টর জমিতে গড়ে তুলেছেন কফি বাগান। ২০২১ সালের শেষে কফি ও কাজুবাদাম গবেষণা উন্নয়ন সম্প্রসারণ প্রকল্পের অধীনে পঞ্চগড়ের তিন উপজেলায় রোবাস্ট জাতের কফি চাষ শুরু হয়। যেহেতু অল্প সময়ে কফি গাছে প্রচুর ফল আসে। সহজ বাজারজাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সমস্যা না হলে এ জেলায় কফি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা।
বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি অনেক সাধারণ উদ্যোক্তাও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে কফি চাষে এগিয়ে আসছেন। আমদানি, চাষাবাদ ও বিক্রির আউটলেট স্থাপন সব ক্ষেত্রে একসাথে গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় কফির বাজারে এখন যেন জোয়ার চলছে। ফলে প্রতি বছর চাষের আওতা বাড়ছে, কফি চাষকারী কৃষকের সংখ্যাও বাড়ছে।
কফিসহ কাজুবাদাম চাষ বাড়াতে সরকার ২০২১ সালে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের বিনামূল্যে চারাসহ নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ সহায়তা অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্তভাবে কৃষকের কাছে পৌঁছালে কফি চাষ অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা