এটি কিভাবে সম্ভব হলো?
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে টিসিবির পণ্যে নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ ও এক নারীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নারীকে মারধর ও নিম্নমানের চাল বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার রকি ও জিহাদ।
গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু হয়। এ কাজ করছিলেন জিহাদ মুদি স্টোরের মালিক জিহাদ ও ডিলার, আয়ান মুদি স্টোরের মালিক রকি। মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান রসনা বেগম নামে এক নারী। প্যাকেটে তেলের বোতল না পেয়ে ডিলারের কাছে অভিযোগ করলে শুরু হয় বাগি¦তণ্ডা। একপর্যায়ে ডিলার জিহাদ ওই নারীকে থাপ্পড় মেরে বের করে দেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, টিসিবির পণ্যে যে চাল দেয়া হয়েছে, তা নিম্নমানের। এমন চাল গরুকেও খাওয়ানো হয় না। বাধ্য হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত চালের ভাত খাচ্ছেন তারা।
ভুক্তভোগী রসনা বেগম অভিযোগ করেন, শনিবার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য আনতে গিয়েছিলাম। তিনজনের কার্ড নিয়ে গিয়েছিলাম। পরিষদে আমাকে পণ্য দেয়ার পর নেমে দেখি, প্যাকেটে তেলের বোতল নেই। ডিলার জিহাদের কাছে গিয়ে তেলের বোতলের কথা বললে সে বলে, ‘তেল দিয়েছে’। অথচ তেলের বোতল পাইনি। পুনরায় তাকে তেলের কথা বললে সে গালাগালি শুরু করে এবং চড়-থাপ্পড় মেরে নিচে নামিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার হাবিবা খাতুন বলেন, (রসনা বেগম) জিহাদের কাছে গিয়ে বলেছে, তেল পাইনি। জিহাদ (ডিলার) খুব গালাগালি করেছে। এত গালাগালির পর বৃদ্ধা না গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। জিহাদ মহিলার (রসনা বেগম) পিঠে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। ওই বৃদ্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিকে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি কথা বললেন, তাও তেল দিলো না। পরে তেল না নিয়েই চলে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হামিদুর রহমান বলেন, টিসিবির পণ্য দেয়ার সময় আমার চাচীর (রসনা বেগম) সাথে ঝগড়া-গণ্ডগোল হচ্ছিল, গালাগালি হচ্ছিল। হাতাহাতিও হয়েছে। বাধা দিয়েছি। ডিলার পুলিশের ভয় দেখালে আমরা চলে আসি।
এ ঘটনায় টিসিবির পণ্য বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিমুল ইসলাম বলেন, এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দিয়েছি। নারীকে চড়-থাপ্পড় মারার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘বাইরে ছিলাম। হট্টগোল দেখে ভেতরে গিয়েছিলাম। সে সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যাওয়ার আগে কী হয়েছে, তা জানি না। নিম্নমানের চাল বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, চাল দেখেছি। এটি নিম্নমানের।’
অভিযুক্ত ডিলার রকি বলেন, ‘ওই নারী তেল পায়নি এমন অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা বলেছি যে, দেয়া হয়েছে। তার পরও ওই নারী না শুনলে বলেছি, পণ্য বিতরণ শেষে তেলের বোতল থাকলে দেয়া হবে।’ ওই নারীকে চড় মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।’ ডিলার জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বাগি¦তণ্ডার একপর্যায়ে একটু ধাক্কা দিয়েছি মাত্র। গুরুতর কিছু না।’ নিম্নমানের চাল বিতরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপজেলা থেকে যে চাল আসে, সেটিই আমরা বিতরণ করি। বাইরে থেকে চাল নিয়ে এসে বিতরণের সুযোগ নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, রোববার দু’জন ডিলারসহ উভয় পক্ষকে ডেকেছিলাম। ঘটনা হচ্ছে- ওই নারী তিনজনের পণ্য ওঠানোর পরে আরো কার্ড নিয়ে গেলে, ওই সময়ে তেল ছিল না। তাকে বলা হয়, তেল পরে দেবে। এ সময়ে ওই নারীর ট্যাংরা নামের এক আত্মীয় এসে টিসিবির ডিলারকে চড় মারে। পরে ডিলার ওই নারীকে হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি সাথে সাথে নিষ্পত্তি করা হয়। এটি ভুল বোঝাবুঝি।’ নিম্নমানের চাল বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা