কী করে তা সম্ভব?
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, জেলার নাঙ্গলকোটে আবাসিক এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের তিলিপ মৌকরা গ্রামে এই ইটের ভাটাটি গড়ে তুলেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ওই মাসের শেষের দিকে ভাটাটি গুঁড়িয়ে দেয় সরকারের পরিবেশ অধিদফতর। কিছু দিন পরই আবার চালু হয়েছে ভাটাটি। কিন্তু লোকালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে এই ভাটায় ইট পোড়ানো চলছে পুরোদমেই।
ইটের ভাটাটি বন্ধের দাবিতে ২০২৩ সালের জুন মাসে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জামাল হোসাইন।
পরিবেশ অধিদফতর, কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘ওই ইটের ভাটাটি পরিবেশ অধিদফতর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়নি। তাই এটি অবৈধ। এ ছাড়া, এটির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগও রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩’-তে বলা আছে- আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।
সরেজমিন দেখা যায়, ওই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ৩০ একর ফসলি জমিজুড়ে গড়ে উঠেছে ইটের ভাটাটি। এলজিইডির নাঙ্গলকোট-মৌকরা সড়কঘেঁষা এই ভাটার আধা-কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে কামিল মাদরাসা, তিলিপ মাদরাসা, যোবায়দা-হামিদ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মেডিক্যাল সেন্টার। এই ভাটার আশপাশ জমির মাটি কেটে সরবরাহ করায় আবাদি জমি দিন দিন কমছে এখানে। ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে ভাটায় নেয়ার ফলে গ্রামীণ সড়কগুলো ভাঙছে। অন্যদিকে, ধুলোবালিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২১টি ইটভাটা রয়েছে। এর ১১টিই অবৈধ। মৌকরা দরবার শরিফের পীর শাহ মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন ওয়ালি উলাহী বলেন, ‘এই ভাটাটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আশপাশের গাছে ফল ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভাটামালিকের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইটভাটার বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেখেন। তার সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরের লোকজনসহ দ্রুত অবৈধ ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করব।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা