২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
চকরিয়ার অসময়ে রাবার ড্যাম ফুলানো

অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের চকরিয়া উপকূল (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলের পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ১২০ একর ধানচাষের জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। মাতামুহুরী নদীর উপর স্থাপিত বাগগুজারা রাবার ড্যাম নির্ধারিত সময়ের আগে ফুলানোর কারণে আবাদযোগ্য এসব জমি এই অবস্থায় পড়েছে।
কৃষক মুহিউদ্দিন জানান, ঢেমুশিয়া জলমহাল, কুমিরখালী ও শুকরমারা খালে অতিরিক্ত পানি ঢোকানোর ফলে তেমুশিয়া, কোনাখালী, পশ্চিম বড়ভেওলা, বিএমচর ও পূর্ব বড় ভেওলাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে শুষ্ক মৌসুমে আবাদযোগ্য প্রায় ৩০০ কানি জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। রাবার ড্যাম নির্ধারিত সময়ের আগেই ফুলানো হয়েছে। এতে তিন ইউনিয়নের তিনটি স্লুইস গেট দিয়ে অতিরিক্ত পানি ঢুকে পড়ছে জমিতে। ফলে ওই পানি কারো কারো জন্য মঙ্গলজনক হলেও ১২০ একর জমির কৃষকের জন্য গলার কাঁটা।
কৃষকরা জানান, অন্তত দেড় ফুট পানি কমলে জমিগুলো চাষাবাদ করা যাবে। পানি কমাতে হলে রাবার ড্যাম নামাতে হবে। অথবা ঢেমুশিয়া-বাংলাবাজার এলাকার জলমহালের স্লুইস গেট ও আকতার মিয়ার নাশি এলাকার স্লুইস গেট খুলে দিতে হবে। কৃষকদের দাবি, এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে ওই ১২০ একর জমিতে শুষ্ক মৌসুমে চাষ করা যাবে না। চলতি মৌসুমে ধান চাষ করতে পারবেন কিনা এমন চিন্তায় তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মুহিউদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখতে সরেজমিন গিয়েছিলাম। প্রায় ১২০ একর জমি ডুবে গেছে। রাবার ড্যাম নিচু করে জমিগুলো উদ্ধার করতে চাইলে আরো প্রায় হাজার একর জমি পানির অভাবে পড়তে পারে। ফলে এ বিষয়ে ভেবে দেখা হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম বলেন, রাবার ড্যাম নিচু করা সম্ভব হবে না। এতে অন্য এলাকাগুলো পানির অভাবে পড়বে। চকরিয়া উপকূলে সাতটি ইউনিয়নের পাম্পগুলো এখনো চালু করা হয়নি। এগুলো এই সপ্তাহের মধ্যে চালু হলে অতিরিক্ত পানি এমনিতেই কমে যাবে। এ জন্য ওই ১২০ একর জমির মালিকদের সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement