ইসরাইল একমাত্র কারণ
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২৭
মধ্যপ্রাচ্য বহু বছর ধরে উত্তপ্ত। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পাশ্চাত্যের অব্যাহত অন্যায্য কার্যক্রম ইসরাইলকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। দেশটি এতটা বেপরোয়া যে, কোনো আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, নৈতিকতা বা আন্তর্জাতিক আচরণবিধির তোয়াক্কা করে না। ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম অধিকার নিশ্চিত করারও তাকিদ বোধ করে না ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষক দেশগুলো। যখন তখন হামলা, হত্যা, নির্যাতন, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয়া, কাজের সুযোগ বন্ধ করে তাদের ভাতে, পানিতে মারা ও জমিজমা দখল করার অব্যাহত প্রক্রিয়া চলছে গত প্রায় শতাব্দীকাল ধরে।
এরই চূড়ান্ত পর্যায়ে গত ৭ অক্টোবর ঘটে ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের ঘটনা। এর পর থেকে গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। সমকালের এই গণহত্যা রোধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য শক্তি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি; বরং ইসরাইলকে সব রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। হামাসের সমর্থক ইয়েমেনের হুতি ও ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্দানে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানপন্থী গ্রুপের হামলায় চার মার্কিন সেনা নিহত এবং লোহিত সাগরে মার্কিন ও ইসরাইলি জাহাজে হুতির আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে হুতির ৩৬টি এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর ৮৫টির বেশি লক্ষ্যস্থলে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। ফলে গোটা পরিস্থিতি এখন বিস্ফোরণের দিকে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তপ্ত বারুদে আগুন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামাস বলেছে, আগুনে ঘি ঢেলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাপ্রবাহে এটি বারবার স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসরাইল ও এর পৃষ্ঠপোষকরা অন্যের অধিকার কখনো স্বীকার করেনি। তারা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে হামলা করা, তাদের ভূমি দখল করা বা বিরোধীদের হত্যা করতে কখনো বিরতি দেয়নি। সম্প্রতি ইসরাইল লেবাননে হামলা চালিয়ে শীর্ষ হামাস নেতাকে হত্যা করে। এর আগে ইরান সমর্থিত একটি গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হত্যা করে। এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। উপর্যুপরি ঘটছে একের পর এক। গত শুক্র ও শনিবারের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এমন হামলা আরো চালানো হবে।
কিন্তু প্রত্যেক আঘাতের পাল্টা প্রতিঘাত থাকে। এটি প্রকৃতির নিয়ম। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রতিটি অন্যায়ের প্রতিঘাত তৈরি হবে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্ভবত তার সূচনা। এর মধ্যে গোটা মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত। কেউ কেউ এটিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আলামত হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যদিও বড় পরিসরে যুদ্ধে যেতে চায় না বলে দাবি করছে। একই কথা বলে আসছে তেহরানও। কিন্তু চলমান ঘটনাবলি বিপরীতটিই প্রমাণ করে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এ অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা বাড়াবে নিঃসন্দেহে। আরো সঙ্কটময় হবে পরিস্থিতি।
গাজায় গণহত্যা বন্ধে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের বেশির ভাগের অভিমত, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে বা শান্তি ফেরাতে হলে এ মুহূর্তে গাজার গণহত্যা বন্ধ এবং দীর্ঘমেয়াদে ফিলিস্তিন সঙ্কটের গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য সমাধান করতে হবে। গাজা নিয়ে বিশ্ব আরেকটি মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়–ক সেটি কারোর কাম্য হতে পারে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা