উদ্ধার কি প্রশাসনের দায়িত্ব নয়?
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০২
নয়া দিগন্তের রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা জানান, রাজাপুর শহরে জমির দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ভূমিদস্যুরা সরকারি খাল দখলে বেপরোয়া। উপজেলার খালটি ভূমিদস্যুদের কারণে নিশ্চিহ্ন। কোথাও সরু নালায় পরিণত হয়েছে। খাল ও নালা দখলে নিলেও ভয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করতে পারছে না। সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ। খাল দখলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, পয়সাওয়ালা ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনও নীরব। এতে আরো উৎসাহী হচ্ছে ভূমিদস্যুরা। ভূমিদস্যু মহল খাল দখল করে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় খাল দখল করে স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। খালের মাঝ পর্যন্ত ঘর নির্মাণ করেছে ভূমিদস্যুরা।
‘ভারানি’ নামে পরিচিত খালটি সদর বাজারের উত্তর মাথার কামারপট্টি থেকে শুরু করে জেলখানার পেছন থেকে বাইপাস দিয়ে পূর্বদিকে জাঙ্গালিয়া নদীর সাথে মিশেছে। চার কিলোমিটার খালটি ভাগাড়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন নির্মাণ করায় দখল হয়েছে। স্রোত বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন অংশ নালায় পরিণত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনও স্বীকার করেছে, দখলের বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। মধ্যবাজার থেকে খালটি জেলখানার পেছনের এলাকা হয়ে টিঅ্যান্ডটি সড়কের মধ্য দিয়ে বাইপাস এলাকার ব্রিজ হয়ে তুলাতলার দিকে গেছে। দখলে খালটির মৃতপ্রায় অবস্থার কারণে মালামাল বহনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা সমস্যায়। জোয়ারে সামান্য থাকলেও ভাটায় পানিই থাকে না। শহরের কোথাও আগুন লাগলেও পানির সঙ্কট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির উৎস পাওয়া যায় না। এ ছাড়া খালটি ও ছোট শাখা নালা ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাইপাস এলাকায় আওয়ামী লীগের নতুন অফিসসংলগ্ন এলাকার অংশটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের কাজ করা চোখে পড়ার মতো হলেও প্রশাসন নীরব বলে অভিযোগ।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, সরকারি খালের জমির মালিকানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। তিনি খালটি উদ্ধার করে দিলে খননের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, চলতি মাসে বিএডিসির প্রকল্প পাওয়ার কথা। ওই প্রকল্প বরাদ্দ পেলে খালটি উদ্ধার করে খননের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা