আবাসন প্রকল্প কি এভাবে গড়া যায়?
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের খুলনা প্রতিনিধি জানান, সরকারি হিসেবে খুলনা জেলায় দুই হাজার ২০০ কিলোমিটার সরকারি খাল রয়েছে। অনুসন্ধান বলছে, এর ৫৬০ কিলোমিটার বা প্রায় ২৫ শতাংশ ভরাট হয়ে গেছে। জমি দখলের অভিযোগ প্রভাবশালী ও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই।
শহর ও শহরতলির সরকারি এসব খাল দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসন। গ্রাম পর্যায়ে সরকারি খাল দখল অথবা ইজারা নিয়ে বিভক্ত করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। খুলনা নগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এ রকম প্রায় ৫০টি খালের অনেকগুলোরই অস্তিত্ব নেই। যা আছে, তার ৮০-৯০ শতাংশ অবৈধ দখলে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিষ্কাশন। নষ্ট হচ্ছে পানির আধার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা প্রকৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতিতে ডেকে আনছে চরম বিপর্যয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় ২২শ’ কিলোমিটারের মতো সরকারি খাল রয়েছে; যার মধ্যে ৫৬০ কিলোমিটার ভরাট হয়ে বেদখল হয়েছে। এসব খাল উদ্ধার ও খনন করে জলাধার সৃষ্টি করলে কৃষিপণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, মাছ চাষে আগ্রহী করতে এবং চাষের উপযোগী রাখতে প্রকল্পের আওতায় মৎস্য বিভাগ কিছু খাল খনন করে। কী পরিমাণ খাল অস্তিত্ব হারিয়েছে বা বেদখল আছে, তার পরিসংখ্যান তার দফতরে নেই। জেলা শহর সংলগ্ন উপজেলা ডুমরিয়ার গুটুদিয়ার বাসিন্দা ময়জুদ্দিন শেখ বলেন, মোস্তফার মোড়-কৈয়া বাজার সড়কের বাঁধে খালের মুখ বন্ধ করে আবাসন গড়ে তুলেছে বিশ্বাস প্রোপার্টিজ নামের আবাসন প্রতিষ্ঠান। এতে বর্ষা মৌসুমে নিষ্কাশনের পথ সঙ্কুচিত এবং এমনকি বন্ধ। ওই আবাসন ব্যবসায়ীরা এখন শ্মশানঘাট মসজিদের পাশের বাটকেমারি খাল দখল করে বালু ভরাট করছে। আবাসন প্রতিষ্ঠানটির মালিক আজগর বিশ্বাসের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম বলেন, শহরের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় সবচেয়ে বেশি সরকারি খাল-জলাশয় ভরাট ঘটছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। সরকারি খাল দখল, গাছপালা উজাড় করে ইচ্ছামতো রাস্তা, পুল-কালভার্টসহ স্থাপনা তৈরি করছেন কতিপয় ব্যবসায়ী। ভূমি অফিসের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সহযোগিতায় খাল-জলাশয় টার্গেট করে ভূমিহীন সেজে অনেকেই বরাদ্দ নিয়ে বেআইনিভাবে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীদের কাছে।
তুহিন বলেন, ওই সব আবাসন ব্যবসায়ী প্রভাবশালী হওয়ায় আইন মানেন না। কিছু করার থাকে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেলে’ খাল ও জলাশয় ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, সরকারি খাল ও জলাশয় ভরাট করা দণ্ডনীয়। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা