২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
দেশজুড়ে হাঁড় কাঁপানো শীত

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই

-

বাংলা মাঘ মাস শুরু হতে না হতেই শীতে কাঁপছে সারা দেশ। এতে করে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারা দেশে শীতের তীব্রতা অনুভূত হলেও শুক্রবার থেকে কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও দিনাজপুর- এই চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দেশের কয়েকটি জেলায় নিম্ন তাপমাত্রা বেশ কম হওয়ায় সেসব স্থানেও অসহনীয় শীত পড়েছে। এদিকে হাঁড় কাঁপানো শীতে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

দেশের উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়া কুয়াশা এত ঘন যে, কোথাও বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে। সারা দেশে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরো কয়েক দিন থাকতে পারে। রাত-দিনের তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় নৌচলাচল বিঘিœত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান হেডলাইন জ্বালিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কুয়াশার বিস্তার আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রচণ্ড শীতে কাজে বের হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ায় হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। গবাদিপশুর শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় বিনষ্ট হচ্ছে রবিশস্য, বিশেষ করে ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত।
শীতের তীব্রতা সত্ত্বেও কুয়াশার মধ্যে কাজের সন্ধানে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষ। দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ন্যূনতম খাবার সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে বাইরে বের হলেও অনেকের কাজ মিলছে না। তারা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কাজে যেতে না পারায় তাদের হাতে নগদ টাকা নেই। ফলে অর্থের অভাবে খাদ্য ও শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না। তবু তাদের সহায়তায় সমাজকর্মী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিধিদের কোনো তৎপরতা নেই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণের চিত্র তেমন চোখে পড়ছে না, যা বিতরণ হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় যেমন খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছেন, তেমনি শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগও কম নয়। কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন তারা। যাদের শীতবস্ত্র নেই তারা খড়কুটো, পরিত্যক্ত কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
যত শীত হোক, অনেক শ্রমজীবী মানুষ পরিবারিক খরচ মেটাতে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ তাদের বেশির ভাগের গরম কাপড় চাই। এক দিকে শীতবস্ত্রের অভাব, অন্য দিকে কাজে যেতে না পারায় নিত্যদিনের খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থাতেও তাদের পাশে তেমন কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন না। সরকারি-বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। ধনিক-বণিক শ্রেণীসহ সমাজের সর্বস্তরের সচ্ছল মানুষের প্রতি আমাদের আহ্বান, শীতে কষ্টে পড়েছেন যেসব মানুষ তাদের সহযোগিতা যেন আমরা কোনো কার্পণ্য না করি। সবাই আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে আসি।


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই : তারেক রহমান পার্থে ইতিহাস গড়ল ভারত, পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া দেশের শ্রমখাতে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে : শ্রম সচিব সুদমুক্ত ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় সমাবেশের চেষ্টা : লক্ষ্মীপুরে আটক ১১ নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ বদলি সাবেক কৃষিমন্ত্রী শহীদকে মৌলভীবাজার কারাগারে স্থানান্তর সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের ৫ আগস্টের বিপ্লবই ইসলামী বিপ্লবের পূর্বাভাস : মামুনুল হক হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি করতে পারে ইসরাইল অটোরিকশা চলবে : হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা অযৌক্তিক কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে : সারজিস

সকল