নজর দিতে হবে
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, লাখাই উপজেলার হাওরাঞ্চল বুল্লা ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় বুল্লা বাজারে। বাজারসংলগ্ন সুতরাং নদীতে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। সাঁকো পারাপারের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিন দেখা যায়, সুতরাং নদীর ১৫০ মিটার লম্বা সাঁকোর অবস্থা অনেকটাই নড়বড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে বেগুনাই, মাদনা, বলাকান্দি, ভবানীপুর, ভরপূর্ণি, কাটাইয়া, মকসুদপুর, পশ্চিম বুল্লা, পূর্ব বুল্লা, তেঘরিয়া, সিংহগ্রাম ও বামে গ্রামসহ যাতায়াত করছেন ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া অষ্টগ্রাম ও বানিয়াচং উপজেলার আদমপুর, নূরপুর, সুজাতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজনও এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। সেতুর অভাবে এই এলাকার মানুষ উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায়মূল্য থেকে বঞ্চিত। শুধু তাই নয়, নড়বড়ে এই সাঁকো পাড়ি দিতে গুনতে হয় টাকা। জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও মিলছে না সমাধান। বর্ষা মৌসুমে নদীতে বেশি পানি থাকলে খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হওয়া গেলেও বছরের বেশির ভাগ সময়ই নদীতে পানি কম থাকে। তাই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। অবশ্য বিকল্প পথে ইউনিয়ন পরিষদ, থানা, হাসপাতাল, উপজেলা শহর ও বাজারে যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের মানুষকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়, গুনতে হয় বাড়তি টাকা। অন্য দিকে, এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করলে অনেক পথ কম ঘুরতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে, হয়রানিও কম হয়। এই সাঁকোর জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিনের কষ্ট লাঘব হবে। সেতুর অভাবে কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন দিকে পিছিয়ে আছে এই গ্রামগুলোর মানুষ। স্থানীয় কলেজশিক্ষার্থী রবিন বলেন, বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়লে নৌ-চলাচলের জন্য সাঁকো তুলে ফেলা হয়। পরে নদীর পানি কমে এলে রবি দাশ সম্প্রদায়ের লোকজন সাঁকো তৈরি করে। সাঁকোর অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হয়। একজন পুলিশ সদস্য বলেন, অনেক সময় দাঙ্গার খবর পেলেও ওপারের গ্রামগুলোতে যেতে সময় বেশি লাগে। অনেক পথ ঘুরে লুকড়া হয়ে যেতে হয়। এতে সময় বেশি লেগে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, যুগ যুগ ধরে রবি দাশ সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের নেতৃত্ব ও খরচে সাঁকো তৈরি করে থাকে। পারাপার হতে জনপ্রতি আগে দুই টাকা নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে পাঁচ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। প্রতিবার সেতু পারাপারের সময় দিতে হয় এই টাকা। টাকা তোলেন সাঁকো নির্মাণকারীরা। সাঁকো পারাপারে টাকা উত্তোলনে নিয়োজিত রুহি দাশ বলেন, দৈনিক হাজার তিনেক টাকা ওঠে। এতে আমাদের তিনটি পরিবারের সংসার চলে। জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে আদায় করা হয়। তবে ‘ছাত্রছাত্রীদের কোনো টাকা নেয়া হয় না’।
বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ বলেন, বছর দেড়েক আগে এই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য মাপামাপি করেছিল এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। অজ্ঞাত কারণে আর সেতু তৈরি হয়নি। আশা করি, এখানে সেতু তৈরি হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব। লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী আকতার হোসেন বলেন, সাঁকোর একটি ছবি আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে দিন। ছবি দেখার পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অফিস স্টাফদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা