এভাবে কি চলবে?
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
সহযোগী একটি দৈনিকের প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের বাংলাবাজার স্লুুইস গেট খালের উপর নির্মিত সেতুটি পাঁচ বছর ভেঙে রয়েছে। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ২০১৫ সালে নির্মিত সেতুটি দুই-তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। বর্ষায় স্রোতে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ও জমি ভেঙে পড়ারও উপক্রম। সেতুটি গলার কাঁটা। সেতুটি খালে হুমড়ি খেয়ে থাকায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য জনপ্রতিনিধি বাঁশের সাঁকো পর্যন্ত করে দিয়েছেন এখানে।
খালপাড়ের বাসিন্দা শাহ আলম আখন্দ বলেন, সেতুটি সাত বছর আগে নির্মিত হলেও চার-পাঁচ বছর ধরে ভেঙে খালে পড়ে আছে। ফলে ভাঙা সেতুর গাইডওয়ালে পানি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের ভিটি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ভয়ে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারি না। আমাদের বাড়িটি স্রোতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকি। ভাঙা সেতু অপসারণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খান জাহান আলী পাটওয়ারী বলেন, ‘উপজেলা থেকে সেতুটি অপসারণের জন্য অকশন করা হয়েছে। ঠিকাদার অকশন নিলেও সেতু অপসারণের উদ্যোগ নেই। অপসারণের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। সেতুটি কেন অপসারণ করা হয়নি, সেজন্য সদর উপজেলার পিআইওকে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি।’ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলী আহম্মদ বলেন, ‘বাংলাবাজার স্লুইস গেটের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি গলার কাঁটা। দুই পাড়ের জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙা ব্রিজের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই পানিতে পড়ে গেছেন। এমনকি, বর্ষার পানির স্রোতের দুই পাড়ের জমি ভেঙে খালের প্রসারতা বেড়ে গেছে। খালটির প্রস্থ ৭০ ফুট থাকলেও বর্তমানে দুই পাশের জমি ভেঙে ১৪০ ফুটে পৌঁছে গেছে। পিআইও মৌখিকভাবে আমাকে ভাঙা সেতুটি অপসারণের কথা বলেছেন। অফিস থেকে লিখিত অনুমতি ছাড়া কিভাবে সেতুটি অপসারণের কাজ করব?’
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালে যোগদানের আগেই সেতুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করা হয়েছিল।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সেতুর কাজ তদারকি করেছেন। তিনি বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে করালে সঠিক হতো। ভাঙা সেতুটি অপসারণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদর উপজেলার মৈশাদীর ঠিকাদার শাহ-আলম কাজটি পান। ঠিকাদার বিলম্ব করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা