এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
মাছের অভাবে এ বছর সিরাজগঞ্জের চলনবিলে শুঁটকি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চায়নাদুয়ারী, সুতি ও কারেন্ট জালে মা-মাছ নিধন করায় উৎপাদন কমে গেছে। মাছের অভাবে শুঁটকি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে অনেক চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মৎস্য বিভাগ উৎপাদন কম স্বীকার করে বলছে, উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিলে অবৈধ জাল দিয়ে মাছের শিকার রোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলনবিলের মিঠা পানির মাছ দিয়ে শুঁটকি ভালোমানের হওয়ায় এর সুনাম বিদেশেও রয়েছে। বর্ষায় শুঁটকি উৎপাদনকে ঘিরে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠে শুঁটকির চাতাল ও আড়ত। জেলেদের কাছ থেকে মাছ কমমূল্যে কিনে চাতালে তৈরি হয় শুঁটকি। এ বছর চলনবিলে মাছের উৎপাদন কম হওয়ায় শুঁটকি উৎপাদনও কমে গেছে।
শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চায়নাদুয়ারী, সুতি কারেন্ট জালে মা-মাছ নিধনসহ অপরিকল্পিত পুকুর খনন করার চলনবিলে মাছ কমে গেছে। বেশি দামে মাছ কিনে শুঁটকি উৎপাদন করতে গিয়ে লোকসানে পড়ে অনেক চাতাল বন্ধ। এতে শুঁটকির পরিমাণ কমে যাওয়ায় অনেকেই বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চাতাল ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান, চলনবিলের মিঠা পানির পুঁটি, খৈলসা, চান্দা, মলা, ইচা, টেংরা, গুচি, কাকিলা, টাকি, শোল ও বোয়াল মাছসহ বিভিন্ন মাছের শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। ২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে শুঁটকি বিক্রি করা হয়। শুঁটকি আড়তে নেয়ার পর বিক্রি হয়ে থাকে।
শুঁটকি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম, দেলবার ও আলম জানান, চলনবিলের মহিষপুটি মৎস্য আড়ত ঘিরে আশপাশে ২৫টি চাতাল ছিল। এ বছর মাত্র পাঁচটি চাতালে শুঁটকি করা হচ্ছে। মাছের অভাবে ব্যবসায় গুটিয়ে চলে গেছেন প্রায় ২০ জন ব্যবসায়ী। তারা জানান, প্রতিদিন একটি শুঁটকির চাতালে ৩০০ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। বাজার ও আড়ত ঘুরে ৩০-৬০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে শুঁটকি উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ী আমজাদ জানান, বর্ষার শুরুতেই সুতি, চায়নাদুয়ারী ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নিধন করার ফলে উৎপাদন কমে গেছে। শুঁটকি কমে যাচ্ছে। মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মাছ নিধন বন্ধসহ অপরিকল্পিত পুকুর খনন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক আলেয়া খাতুন, সন্ধ্যা খাতুন, জোসনা পারভীন, আছিয়া ও সাজেদা বেগম জানান, বর্ষা মৌসুমে শুঁটকির চাতালে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। এ বছর মাছের অভাবে অনেকের কর্মহীন দিন কাটছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান জানান, চলবিলের মিঠা পানির মাছ দিয়ে উৎপাদিত শুঁটকি ভালো মানের হওয়ায় দেশ-বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চলতি বছর দুই হাজার ৬০০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নানা কারণে মাছের উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়ে বলেন, ‘চলনবিলে অবৈধ জাল দিয়ে মা-মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগামী বছর থেকে ব্যবসায়ীরা এর সুফল পাবেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা