২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
মন্ত্রী-এমপিদের পাহাড়সম সম্পদ

বিস্মিত হওয়ার কী আছে!

-

সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের সম্পদ গত ১৫ বছরে অনেক বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের দেয়া হলফনামার ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর আসতে শুরু করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকের সম্পদ অর্জন ও সঞ্চয়ের অধিকার আছে। যে কেউ সম্পদ বাড়াতেও পারেন, কমাতেও পারেন। কারো সম্পদ যদি শুধু বাড়ে; তাতে দুষ্টু লোকের চোখ টাটাতে পারে। কেউ কাতর হলেও হতে পারেন। ‘পরশ্রীকাতরতা’ শব্দটি একমাত্র বাঙালির অভিধানে আছে। তাই বলে একজন মন্ত্রী-এমপি বা রাজনৈতিক নেতার সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে আপত্তি তোলার কারণ নেই।
আপত্তির কারণ ঘটে, যখন সম্পদ অর্জনের উপায় ও আয়ের সাথে অর্জিত সম্পদের সামঞ্জস্যহীনতার প্রশ্ন ওঠে।
নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা হলফনামা আকারে যে সম্পদবিবরণী জমা দিয়েছেন সেগুলো যে শতভাগ নির্ভুল বা পুরোপুরি সত্য তা-ও নয়। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচন কমিশন এসব হলফনামার একটিরও যথার্থতা বা সত্যতা পরীক্ষা করে না। কেবল নিয়ম মানার তাগিদে এগুলো জমা নেয়, যা একেবারে অর্থহীন।
গত মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক ব্রিফিং থেকে জানা গেল, অন্তত একজন মন্ত্রী বিদেশে তার দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসার তথ্য পুরোপুরি চেপে গেছেন। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, রাষ্ট্রের কোনো কর্তৃপক্ষ যদি জানতে চায়, তাহলে টিআইবি তথ্যপ্রমাণসহ তা দেবে। খোদ মন্ত্রীর যদি এ অবস্থা হয় তাহলে অন্য এমপি ও নেতারা কেমন সত্য তথ্য দিয়েছেন তা বোঝা কঠিন নয়।
হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, মাত্র পাঁচ বছরে বর্তমান মন্ত্রিসভার ১০ জন মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১০০ শতাংশ থেকে শুরু করে এক হাজার শতাংশের বেশি পর্যন্ত।
এসব তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে টিআইবি চেয়ারম্যান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আমরা তার বিস্মিত হওয়া দেখে বরং বিস্মিত হচ্ছি। কারণ, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঋণের নামে কিভাবে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করা শুরু হয় সে তথ্য কখনো গোপন ছিল না। ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে নামে-বেনামে, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কিভাবে এসব ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে সে তথ্য সুলতানা কামালের অজানা থাকার কথা নয়। শত মেগা প্রকল্পে বিশ্বের সর্বোচ্চ ব্যয় কেন হচ্ছে তা-ও না বোঝার কথা নয়।
এ সব বিষয়ে প্রশ্ন তোলার হাতিয়ারগুলো কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে সেটি কি তার অজানা? রাষ্ট্রের সব স্তর থেকে জবাবদিহির ব্যবস্থা কতটা আছে সেটিও সবার জানা। তাহলে মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ ১৫ বছরে কিভাবে বেড়েছে সেটি কি খুব অস্পষ্ট?
প্রশ্ন হলো, আঙুল ফুলে বটগাছ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনবে কে? কার এমন সাহস আছে?
নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য খুলেও দেখে না। রাজস্ব বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন কাজটি করতে পারে। তারা গত ১৫ বছরে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাইরে আর কারো সম্পদের হিসাব নিয়েছে এমন নজির খুঁজে পাওয়া খড়ের গাদায় সুঁই খোঁজার মতো ব্যাপার হয়ে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই : তারেক রহমান পার্থে ইতিহাস গড়ল ভারত, পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া দেশের শ্রমখাতে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে : শ্রম সচিব সুদমুক্ত ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় সমাবেশের চেষ্টা : লক্ষ্মীপুরে আটক ১১ নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী টিটিসির অধ্যক্ষ বদলি সাবেক কৃষিমন্ত্রী শহীদকে মৌলভীবাজার কারাগারে স্থানান্তর সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের ৫ আগস্টের বিপ্লবই ইসলামী বিপ্লবের পূর্বাভাস : মামুনুল হক হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতি করতে পারে ইসরাইল অটোরিকশা চলবে : হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা অযৌক্তিক কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে : সারজিস

সকল