২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
রাজধানী ঢাকায় তীব্র গ্যাস সঙ্কট

মানুষের ভোগান্তি দূর করুন

-

রাজধানীর অনেক এলাকায় তীব্র গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন ধরে গ্যাস সঙ্কট অব্যাহত থাকায় নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন ওই সব এলাকার অনেক বাসিন্দাকে। এক দিকে শীত, অন্য দিকে গ্যাস সঙ্কট নাগরিক জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। যাদের বাসায় আত্মীয়স্বজন আছেন; তাদের অবস্থা আরো করুণ। ফলে ঘরে ঘরে যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে গৃহিণী ও অন্যদের।
চুলা না জ্বলায় রান্না করতে পারছেন না অনেক গৃহিণী। স্কুলগামী বাচ্চাকে টিফিন বানিয়ে দিতে পারছেন না মায়েরা। অনেক চাকরিজীবী না খেয়ে অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ রেস্তোরাঁ কিংবা অনলাইন শপ থেকে খাবার কিনে আনছেন। এতে করে তাদের বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে। এমনিতে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ঢাকায় বসবাসকারী বেশির ভাগ মানুষের আয় বাড়েনি। তাদের এখন টিকে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। তার ওপর গ্যাস সঙ্কটে বাসায় রান্না করা সম্ভব না হওয়ায় বাড়তি টাকা খরচ করে খাবার কেনা তাদের জন্য ‘বোঝার উপর শাকের আঁটির’ অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নয়া দিগন্তে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, মিরপুর, মহাখালী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে তীব্র গ্যাস সঙ্কট চলছে। এসব এলাকার অধিবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারা দিন গ্যাসের চাপ থাকে না। রাতে কোথাও কোথাও সামান্য গ্যাসের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। তা-ও আবার রাত ১১-১২টার পর গ্যাস আসে। তখনো রান্না করার মতো প্রয়োজনীয় চাপ তেমন একটা থাকে না। মাঝে মাঝে পানি পড়ে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চলছে। ফলে গ্যাস না থাকায় ভুক্তোভোগী এলাকার নারীরা রাত জেগে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ দিকে দিনের বেলা বাচ্চা ও বয়স্কদের খাবার রান্না করা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন তারা। অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে পরিবারের খাবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি নাকি জাতীয় সঙ্কট। তাহলে সারা ঢাকার সব জায়গায়ই তো সমভাবে গ্যাসের সমস্যা হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই জনমনে প্রশ্ন, জাতীয় সঙ্কট হলে কোনো কোনো জায়গায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে কিভাবে? এতে ভুক্তোভোগী অনেকে মনে করেন, রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকায় গ্যাসের সমস্যার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসের কোনো কারিগরি ত্রুটি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা উচিত।
ঢাকার গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) অধ্যাপক মো: সেলিম মিয়া জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাপ কম থাকায় গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে ২/৩ দিন আগের তুলনায় গত মঙ্গলবার থেকে গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তিনি আশা করছেন, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সবার জানা, বাংলাদেশে শহরাঞ্চলে রান্নার জন্য পাইপলাইনে সরকারি সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা গ্যাসই নাগরিক জীবনের জন্য ভরসা। কিন্তু সেই জ্বালানি যদি সঠিকভাবে ও প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ না হয়, তা হলে নাগরিক জীবনে অসহনীয় দুর্ভোগ নেমে আসে। ঢাকার যেসব এলাকায় গ্যাস সঙ্কট চলছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের জীবনে এখন সেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এটি তো গেল ভোগান্তি। আবার গ্যাস ঠিকমতো না পেয়েও গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে তিতাসের বিল। দুই ভাবেই তিতাস গ্যাস কোম্পানির দ্বারা গ্রাহক প্রতারিত হচ্ছেন। সঙ্গত কারণে প্রশ্ন হলো- সেবা না দিয়ে কোন নৈতিক ভিত্তির ওপর ভর করে তিতাস গ্যাস গ্রাহকের কাছ থেকে পুরো বিল নিচ্ছে? আমরা আশা করব, গ্রাহকদের আর প্রতারিত না করে জনদুর্ভোগ লাঘবে আন্তরিক হবে তিতাস।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় জামায়াতের প্রতিবাদ গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চালাতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে নদীতে, নিহত ৩ গাজীপুরে বেক্সিমকো শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর দিলো দেশটির সরকার আইএলও বাংলাদেশকে ৩ মিলিয়ন ইউরো দেবে মাঠে নামার আগেই ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ৫ প্রকল্পের অনুমোদন ভোটাধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস নোয়াখালীতে সিএনজি-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

সকল