২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিম্নমানের দুর্গন্ধযুক্ত চাল

দরিদ্রদের নিয়ে এই প্রহসন কেন?

-

একটি সহযোগী দৈনিকের উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামের উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিডির নিম্নমানের, খাবারের অযোগ্য চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ফলে ১৪ দিন ধরে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ না করায় ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে তা পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদে। বজরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর ২৯০ জন ভিজিডি কার্ডধারীর বিপরীতে (৩০ কেজি করে) ৮ টন ৭০০ কেজি চাল উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়। চালগুলো নিম্নমানের, দুর্গন্ধযুক্ত, খাবার অযোগ্য হওয়ায় ভিজিডির কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা তা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তালবাহানা করে আসছেন খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা।
সরেজমিন ১ জানুয়ারি রোববার দুপুরে বজরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের চালগুলো পরিষদের গুদামে রাখা হয়েছে। এ দিকে, গত ডিসেম্বর মাসের ভিজিডির চাল ১৪ দিন আগে উত্তোলন করা হলেও চালগুলো নিম্নমানের হওয়ায় তা বিতরণ করতে পারছে না এই ইউনিয়ন পরিষদ। খাদ্যগুদামের কয়েকজন মিলার জানান, সংশ্লিষ্ট খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ভালো চাল বের করে নিয়ে একটি অসাধু চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভিজিডিসহ সরকারিভাবে বিতরণকৃত বিভিন্ন সুবিধাভোগীর মধ্যে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে আসছে। ওই সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলার সাহস পান না। বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, ডিসেম্বর মাসের ভিজিডির চাল নিম্নমানের ও খাবারের অযোগ্য হওয়ায় তা বিতরণ করা যায়নি। বিষয়টি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা, ইউএনও ও ওই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা চাল পরিবর্তন করে দিতে চেয়েছেন। বিগত কয়েক দিনেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। ফলে ভিজিডির সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা বন্ধ রয়েছে। অভিযুক্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভিজিডির চাল নিম্নমানের হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা চাল পরিবর্তন করে দিতে চেয়েছি।’ নিম্নমানের চাল সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে কিভাবে সরবরাহ করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক মাস আগে যোগদান করেছি। আগের কর্মকর্তা গুদামে খারাপ চাল নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের চাল পরিবর্তনের কথা অস্বীকার করেন। উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হোসাইন জানান, খাদ্যগুদাম থেকে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করার প্রশ্নই ওঠে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি খাদ্যনিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জেনে নিয়ে ভালো চাল বিতরণের ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বজরার ভিজিডির নিম্নমানের চাল সম্পর্কে অবগত রয়েছি। তিনি আরো বলেন, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট গুদাম থেকে ভালো চাল বের করে পথিমধ্যে পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে। এতে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
কোনো পত্রিকা বন্ধে চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না : তথ্য উপদেষ্টা সিলেটে ব্যবসায়ী হত্যায় বাবাসহ ২ ছেলের মৃত্যুদণ্ড ভারতে মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় জামায়াতের প্রতিবাদ গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চালাতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে নদীতে, নিহত ৩ গাজীপুরে বেক্সিমকো শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর দিলো দেশটির সরকার আইএলও বাংলাদেশকে ৩ মিলিয়ন ইউরো দেবে মাঠে নামার আগেই ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের একনেকে ৬ হাজার কোটি টাকার ৫ প্রকল্পের অনুমোদন ভোটাধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব

সকল