২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
পুরনো তথ্যে দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম

অনুমানভিত্তিতে কতটুকু সুফল মিলবে

-

যেকোনো কাজ হাতে নেয়ার আগে সর্বপ্রথম প্রয়োজন সঠিক তথ্যের। প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত না থাকলে কোনো কাজ ঠিকভাবে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। এমনকি হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত না থাকলে পুরনো পরিসংখ্যান দিয়েও সুফল পাওয়া দুষ্কর। তবে আমাদের দেশের বাস্তবতা হলো- সরকারের অনেক কর্মসূচিই বাস্তবায়ন করা হয় পুরনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে।
সরকারের দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচির কথাই ধরা যাক। নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক খবর থেকে জানা যায়, দেশে অতিদরিদ্র ও দরিদ্রদের তথ্য গত ছয় বছর আগের। তাই দিয়ে চলছে বিভিন্ন কার্যক্রম। কোভিড-১৯ মহামারীর পর দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কত তার প্রকৃত তথ্য নেই। এখনকার তথ্য অনুমানভিত্তিক। বাংলাদেশে সর্ব প্রথম ১৯৭৩-৭৪ সালে হাউজ হোল্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ‘হাউজ হোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (এইচআইইএস)-২০২২’ বা ‘খানা আয়-ব্যয় জরিপের’ বছরব্যাপী তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে গত ৩০ ডিসেম্বর। তবে চূড়ান্ত হিসাবে দেশে কত পরিমাণ অতিদরিদ্র, হতদরিদ্র ও দরিদ্র আছে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে বিবিএসের প্রাথমিক তথ্য তিন মাস পর অর্থাৎ আগামী মার্চে পাওয়া যাবে। এ জরিপের মাধ্যমে দেশের বর্তমান দরিদ্র ও অতিদরিদ্রের সংখ্যা পাওয়া যাবে। সংস্থাটির দাবি, এবারের জরিপের গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আনা হয়েছে পরিবর্তন।
বিবিএসের তথ্য মতে, গত ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ অনুযায়ী- দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ ও অতিদারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে হতদরিদ্র্যের সংখ্যা দুই কোটি ৪২ লাখ ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশী-বিদেশী অনেক জরিপের পরিসংখ্যান বলছে, মহামারী করোনার অভিঘাতে আমাদের দেশে এখন প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। তাই আমরা মনে করি, হালনাগাদ তথ্য না থাকলে সরকারের দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটবে- এটি নিশ্চিত।
আন্দাজ-অনুমানের ভিত্তিতে কোনো কাজ করলে তার ফল অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে- এটিই স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার কত সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি হাতে নেয়া উচিত, যাতে প্রকৃত দরিদ্রদের সবাই এর সুবিধা পেতে পারে। সরকারের তথ্যের ওপর নির্ভর করে বেসরকারি সংস্থাগুলোও নিজস্বভাবে দারিদ্র্যবিমোচনের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে যদি প্রকৃত তথ্য তাদের কাছে থাকে।
প্রতি পাঁচ বছর পরপর বিবিএসের অধীন খানা জরিপকার্যক্রম হওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে এক বছর দেরি হয়ে গেছে। হয়তো করোনা মহামারীর কারণে এ বিলম্ব। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন খানা জরিপের কাজটি সম্পাদন করলে বিলম্ব এড়ানো সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি।
তথ্য হালনাগাদ না থাকলে সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে যেসব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত, তারা নিজেদের সুবিধামতো ব্যক্তিকে এসব কর্মসূচিতে অন্তর্র্ভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। ফলে দেখা যাবে, যারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন না, তারাও তা পাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
লাখ টাকার প্রলোভনে শাহবাগে এত লোক কীভাবে এলো? কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু হিজবুল্লাহ কমান্ড সেন্টারে ইসরাইলি হামলা রাজশাহীতে প্রথম আলো পত্রিকায় আগুন ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে : পররাষ্ট্র সচিব আড়াইহাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৬ শ্রম সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রশংসা আইপিএলে রেকর্ড গড়লেন ১৩ বছর বয়সী বৈভব সিলেটে ট্রাক ও বাসচাপায় নিহত ২ মানিকগঞ্জে প্রলোভন দেখিয়ে শাহাবাগে লোক নেয়ার মূলহোতা দবিরসহ আটক ৫ মধ্যাহ্নভোজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিলো বাংলাদেশ

সকল